বেঙ্গালুরু: প্রতিদিন রোদ-জল ঠেঙিয়ে অফিসে আসা, তারপর কাজের চাপ। দুপুরের খাবার পেটে পড়লে চোখ জুড়ে আসে অনেকেরই। কিন্তু ৮-৯ ঘণ্টার কাজের মাঝে ঘুমিয়ে নেওয়া কোনওভাবেই সম্ভব হয় না। চা-কফি খেয়ে কোনও ক্রমে কাজ করে যাওয়ার অভ্যাস কিছুদিনের মধ্যেই তৈরি করে পেলেন কর্মীরা। কিন্তু এবার এক ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিল এক ভারতীয় সংস্থা। ঘুমোলে কাজের উদ্দীপণা বাড়ে, এই যুক্তিকে সামনে রেখেই ঘুমের সময় বেঁধে দিল বেঙ্গালুরুর এক সংস্থা। বেঙ্গালুরুর একটি স্টার্ট আপ সংস্থা সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কার্যত ভাতঘুমকেই মান্যতা দেওয়া হয়েছে সেখানে। কর্মীদের কাছে মেল পৌঁছেছে ইতিমধ্যেই।
বেঙ্গালুরুর এই সংস্থা সম্প্রতি একটি মেল করেছে কর্মীদের। সেখানে ন্যাপ বা স্বল্প সময় ঘুমিয়ে নেওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। দুপুরে ‘অফিসিয়াল ন্যাপ টাইম’ দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। প্রতিদিন দুপুর ২টো থেকে আড়াইটে পর্যন্ত নিশ্চিন্তে ঘুম দেওয়া যাবে অফিসে বসেই। শুধু তাই নয়, ভাতঘুমে যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, তার জন্য নিরিবিল পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। শান্ত, অন্ধকার ঘর তৈরি করা হবে ভবিষ্যতে।
বুধবার ওই আসবাব সংস্থার কর্ণধার চৈতন্য রামালিঙ্গেগৌড়া ওই মেল পাঠিয়েছেন কর্মীদের। সেখানে ঘুমের অধিকারের কথা বলা হয়েছে। অর্থাৎ ওই ভাতঘুম দেওয়ার অধিকার রয়েছে প্রত্যেকেরই। তিনি আরও জানিয়েছেন, নাসার গবেষণায় দেখা গিয়েছে ২৬ মিনিট ঘুমিয়ে নিলে ৩৩ শতাংশ কাজের উদ্দীপনা বাড়ে। এতে ক্লান্তি কমে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন, ঘুমোলে বাড়ে স্মৃতিশক্তি, বাড়ে মনোযোগ, সৃজনশীলতা ও উৎপাদনশীলতা বাড়ে বলেও উল্লেখ করেছেন তিনি। এই মেল পেয়ে কর্মীরা বলছেন, এবার তাঁরা সগর্বে বলতে পারবেন যে তাঁদের সংস্থায় ঘুমনোর জন্য টাকা দেওয়া হয়।
এর আগেও এমন ব্যতিক্রমী সিদ্ধান্ত নিতে দেখা গিয়েছে ওই সংস্থাকে। টানা ১০০ দিন ধরে প্রতি রাতে ৯ ঘণ্টা ঘুমোলে এক লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই সংস্থার তৈরি তোষকে শুয়ে ঘুমনোর কথা বলা হয়েছিল। আর এবার ভাতঘুমকে মান্যতা দিল সেই সংস্থাই।