মুম্বই: ব্যাঙ্কে এক সঙ্গে কাজ করেন। সেই সহকর্মীর সঙ্গেই নাকি প্রাক্তন প্রেমিকার সম্পর্ক। চোখের সামনে এই ভাব-ভালবাসা মেনে নিতে পারছিলেন না ছুট্টন সাফি। তাই হিংসার বশে নিজের সহকর্মীকেই খুন করল ব্যক্তি। বড় পাথর দিয়ে মাথা থেঁতলে খুন করল মুম্বইয়ের এক বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত ছুট্টন সাফির সঙ্গে এক ব্যাঙ্কেই কাজ করতেন ২৫ বছর বয়সী সন্দেশ পাটিল। এই ব্যাঙ্কেরই অন্য শাখায় কাজ করতেন ছুট্টনের প্রাক্তন প্রেমিকা। এদিকে সহকর্মী সন্দেশ ও প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হয়। সেই সম্পর্ক মেনে নিতে পারছিলেন না ছুট্টন। তাই সোমবার রাতে মাথা থেঁতলে সন্দেশকে খুন করে সে। তারপর যোগেশ্বরীতে রেললাইনের ধারে তাঁর দেহ ফেলে রাখে। জিআরপি নজরে আসার পর শুরু হয় তদন্ত।
তদন্তে নেমে জানা যায়, সোমবার রাতে মদ খাওয়ার জন্য সন্দেশকে যোগেশ্বরীতে নিমন্ত্রণ জানায় সাফি। মদ খেয়ে বেহুঁশ হয়ে পড়তেই সহকর্মীর মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে সাফি। তারপর মাথা থেঁতলে রেললাইনের ধারে ফেলে রাখে। পরে স্থানীয় কয়েকজন সন্দেশের দেহ দেখতে পেয়ে যোগেশ্বরীর স্টেশন মাস্টারকে খবর দেন। তারপর তদন্ত শুরু করে জিআরপি। আর সাফির নাম উঠে আসে। তাকে খুঁজে বের করে গ্রেফতার করা হয়। সাফির বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় তদন্ত জারি রয়েছে।