Bengaluru: আবর্জনায় পড়া ব্যাগ খুলতেই ভিখারি পেলেন বান্ডিল বান্ডিল ‘সবুজ কাগজ’, মূল্য ২৩ কোটি টাকা!

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Nov 09, 2023 | 8:50 PM

Bengaluru: আবর্জনার মধ্য থেকে ব্যাগটি হাতে পেয়ে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি সলমন শেখ। ব্যাগটি খুলতেই বেরিয়ে এসেছিল সবুজ রঙের বান্ডিল বান্ডিল কাগজ। মূল্য জানা ছিল না সলমন শেখের। কীভাবেই বা জানবেন? কোনোদিন চোখেই দেখেননি।

Bengaluru: আবর্জনায় পড়া ব্যাগ খুলতেই ভিখারি পেলেন বান্ডিল বান্ডিল সবুজ কাগজ, মূল্য ২৩ কোটি টাকা!
প্রতীকী ছবি
Image Credit source: Twitter

Follow Us

বেঙ্গালুরু: আবর্জনার স্তুপ ঘেঁটে বেড়ান তিনি। ভিক্ষাই পেশা। যদি কিছু মূল্যবান বস্তু পাওয়া যায়। যদি, খাওয়ার মতো উচ্ছিষ্ট কিছু পড়ে থাকে। কিন্তু, সেই আবর্জনা ঘাঁটতে ঘাঁটতে যে অমূল্য রত্ন বেরিয়ে আসবে, তা সম্ভবত তিনি কল্পনাও করেননি। তাই, আবর্জনার মধ্য থেকে ব্যাগটি হাতে পেয়ে প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারেননি সলমন শেখ। ব্যাগটি খুলতেই বেরিয়ে এসেছিল সবুজ রঙের বান্ডিল বান্ডিল কাগজ। যে সবুজ কাগজকে লোকে চেনে ডলার নামে! হ্যাঁ, ব্যাগটিতে ছিল মার্কিন ডলারের ২৩টি বান্ডিল! ভারতীয় মুদ্রায় যে ডলারের মূল্য ২৫ কোটি টাকা! তবে, ওই বান্ডিল বান্ডিল ডলারের মূল্য জানা ছিল না সলমন শেখের। কীভাবেই বা জানবেন? কোনোদিন ডলার চোখেই দেখেননি।

চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে। ১ নভেম্বর ওই ডলারের বান্ডিল ভরা ব্যাগটি পেয়েছিলেন সলমন। ওই ডলারের কত মূল্য হতে পারে, তার সঠিক আন্দাজ না থাকলেও, সেগুলি যে বিদেশি মুদ্রা, তা বুঝতে অসুবিধা হয়নি তাঁর। তাই ওই ডলার ভরা ব্যাগটি নিজের কাছেই রেখে দিয়েছিলেন তিনি। সুখে-দুঃখে সলমনকে পরামর্শ দেন তাঁর ‘বস’ বাপ্পা। ৫ নভেম্বর ডলারের বান্ডিলগুলি নিয়ে তিনি বাপ্পার কাছে গিয়েছিলেন। এরপর বাপ্পা যোগাযোগ করেন সমাজকর্মী কালী মোল্লার সঙ্গে। তিনি, সলমনের যোগাযোগ করিয়ে দেন বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার বি দয়ানন্দের সঙ্গে।

কমিশনার বি দয়ানন্দ ডেকে পাঠান সলমন ও বাপ্পাকে। তাঁদের কাছ থেকে পুরো বিষয়টি শুনে তিনি এই মামলার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হেব্বল থানাকে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রাথমিকভাবে তাদের সন্দেহ, ডলারগুলি জাল। কারণ, ডলার বিলগুলিতে কোনও রাসায়নিকের পরত দেওয়া রয়েছে। পুলিশের অনুমান, আবর্জনার মধ্যে এই ডলার ভরা ব্যাগ পড়ে থাকার পিছনে ব্ল্যাক ডলার কেলেঙ্কারিতে জড়িত দুষ্কৃতীদের হাত রয়েছে। ডলার বিলগুলি আসল নাকি জাল, তা যাচাই করতে সেগুলি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়েছে। সেগুলি আসল বলে প্রমাণিত হলে, ডলার বিলগুলি নিয়ে কী করা হবে, তা এখনও জানা যায়নি। সলমন শেখ কি তার কোনও ভাগ পাবেন? তাও জানা যায়নি।

Next Article