নয়া দিল্লি: বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর জায়গায় বিশ্বভারতীর (Viswa Bharati) দায়িত্ব নিয়েছেন সঞ্জয় কুমার মল্লিক। যদিও তিনি স্থায়ীভাবে উপাচার্য পদে বসেননি, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসাবেই তাঁকে বিশ্বভারতীর দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে। এবার বিশ্বভারতীর স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগের ব্যাপারে সরাসরি প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানানো হল। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (PM Narendra Modi) সঙ্গে বৈঠকের পর একথা জানিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)।
এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিশ্বভারতী নিয়ে কথা হয়েছে। একজন যোগ্য ব্যক্তিকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য করার জন্য আমরা আবেদন করেছি। এদিন আমাদের সঙ্গে বিশ্বভারতীর এক প্রাক্তনীও ছিলেন। তিনিও বিশ্বভারতীর একজন যোগ্য ব্যক্তিকে বিশ্বভারতীর উপাচার্য হিসাবে দায়িত্বভার দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছেন। আমরা একজন ভাল উপাচার্য চাইছি, যিনি আগামী দিনে বিশ্বভারতীকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন।”
প্রসঙ্গত, বিশ্বভারতীর প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর সঙ্গে রাজ্যের শাসকদল থেকে বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী-সহ ছাত্রছাত্রী থেকে অধ্যাপকদের একাংশেরও বিরোধ তীব্র হয়ে উঠেছিল। করোনা মহামারীর সময় বিশ্বভারতীর ঐতিহ্যবাহী বসন্ত উৎসব, পৌষমেলা যে বন্ধ হয়েছিল, সেটা আর চালু করেননি প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী। যা নিয়ে চরম ক্ষুব্ধ ছিলেন বিশ্বভারতীর প্রাক্তনী, ছাত্রছাত্রী, রাজ্যের শাসকদল থেকে স্থানীয় বাসিন্দারাও। নোবেলজয়ী অমর্ত্য সেনের সঙ্গেও জমির অধিকার নিয়েও বিশ্বভারতীর সদ্য প্রাক্তন উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর তীব্র বিরোধ বাঁধে। সেই বিরোধ মেটাতে হস্তক্ষেপ করেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এছাড়া নানা ইস্যুতে ছাত্র-ছাত্রী থেকে অধ্যাপকদের অনেকেই সাসপেন্ড হন। অবশেষে শান্তিনিকেতন যাতে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমার ফলকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাম না দিয়ে উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর নান দেওয়া হয়। যা নিয়ে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ তীব্রতর হয়ে ওঠে। বিশ্বভারতীর উপাচার্যের পদ থেকে বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর অপসারণের জোরাল দাবি ওঠে। অবশেষে চলতি মাসের গোড়ায় বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর মেয়াদ শেষ হলে উপাচার্য বদল করা হয়। বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর জায়গায় অস্থায়ী উপাচার্য হিসাবে বিশ্বভারতীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন সঞ্জয় কুমার মল্লিক। তিনি উপাচার্যের দায়িত্বভার গ্রহণের পরই অবশ্য বিশ্বভারতীর পুরানো বিভিন্ন রীতি ফিরিয়ে আনতে এবং প্রাক্তনী, আশ্রমিকদের অসন্তোষ মেটাতে উদ্যত হন।