বিশাখাপত্তনম: বাংলার ছাত্রীর রহস্যমৃত্যুতে অন্ধপ্রদেশ পুলিশের ওপর ভরসা করতে পারেনি রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎপরতায় দক্ষিণের সেই রাজ্যে পাঠানো হয়েছে পুলিশ আধিকারিকদের। কীভাবে চার তলা থেকে পড়ে গেলেন কলকাতার বাসিন্দা রীতি সাহা, তা খতিয়ে দেখতেই ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হল বিশাখাপত্তনমের সেই হস্টেলে। চার তলা থেকে ম্যানিকুইন ঠেলে ফেলে দিয়ে দেখা হল, রীতির মৃত্যু আদৌ অস্বাভাবিক কি না। শুধুমাত্র হস্টেল নয়, থানা থেকে হাসপাতাল সর্বত্রই ঘুরে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন রাজ্যের তদন্তকারী অফিসাররা।
কলকাতার নেতাজী নগররে বাসিন্দা রীতি পড়াশোনার জন্যই অন্ধ্রপ্রদেশে থাকতেন। নিট পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তিনি। গত মাসেই সেখানে রহস্যজনকভাবে মৃত্যু হয় রীতির। প্রাথমিকভাবে অন্ধ্রপ্রদেশ পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত করে আত্মহত্যা বলে উল্লেখ করেছিল। কিন্তু তা মানতে রাজি হননি রীতি সাহার বাবা। তিনি খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর সঙ্গে ফোনে কথা বলে তদন্তের আশ্বাস দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসও। এরপর সিআইডি-র হাতে দেওয়া হয় তদন্তভার।
৪ দিন ধরে বিশাখাপত্তনমে থেকে সবকিছু খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। শুক্রবার ঘটনার পুনর্নির্মাণ করা হয়েছে। আত্মহত্যা করা সম্ভব কি না, তা বোঝার জন্য রীতি সাহার মতো একটি ম্যানিকুইন তৈরি করে চার তলা থেকে নীচে ফেলা হয়। পড়ে গেলে ঠিক কোথায় পড়তে পারে, সেটাও খতিয়ে দেখে পুলিশ।
এরপর তারা যায় দ্বারকা নগরের ভেঙ্কট রাম হাসপাতালে। পড়ে যাওয়ার পর সেখানেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কলকাতার ওই পড়ুয়াকে। হাসপাতালে সঠিক চিকিৎসা হয়নি বলেও অভিযোগ ওঠে। তাই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছেন আধিকারিকরা। চিকিৎসায় গাফিলতি হয়েছিল কি না, তা বোঝার চেষ্টা করেন তাঁরা। এছাড়া ঘটনায় অন্ধ্র পুলিশের তদন্তকারী অফিসার সিআই শ্রীনিবার রাও-এর সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা।