নয়া দিল্লি : সোমবার সন্ধ্যায় প্রিয় সাহিত্য়িককে হারিয়েছে বাঙালি। একের পর এক সাহিত্য সৃষ্টি যেন ‘অমর’ করেছে প্রয়াত সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারকে।সোশ্যাল মিডিয়াতেও স্মৃতির পাতা ওল্টাচ্ছে আপামর বাঙালি। অন্যদিকে, বাঙালি সাহিত্যিককে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্ররমন্ত্রী অমিত শাহ। দুজনেই টুইটে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ও।
মোদী লিখেছেন, ‘শ্রী সমরেশ মজুমদার বাংলা সাহিত্যে তাঁর অবদানের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তাঁর লেখনীতে পশ্চিমবঙ্গের সমাজ ও সংস্কৃতির বিভিন্ন দিক সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। তাঁর পরিবারের প্রতি রইল আমার সমবেদনা।’ অন্যদিকে অমিত শাহ টুইটে লিখেছেন, ‘বাংলা সাহিত্যের কিংবদন্তি শ্রী সমরেশ মজুমদারের মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। বাংলার সমাজের পরিস্থিতি নিয়ে তাঁর অমূল্য রচনা বিশ্ববাসীর মনে এক গভীর প্রভাব ফেলেছে। এই কঠিন সময়ে আমি তাঁর শোকার্ত পরিবার ও অনুগামীদের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই।’
এদিকে, মোমবাতি হাতে নিয়ে শোকসভার মধ্য দিয়ে প্রয়াত সাহিত্যিক সমরেশ মজুমদারকে এদিন সন্ধ্যায় স্মরণ করেছেন গয়েরকাটার বাসিন্দারা। জলপাইগুড়ি জেলার ডুয়ার্স চা-গান ঘেরা গয়েরকাটায় জন্ম হয়েছিল সমরেশ মজুমদারের। শৈশব কেটেছে ডুয়ার্সে। তাই সমরেশ মজুমদারের স্মৃতিতে এদিন সন্ধ্যায় গয়েরকাটা উচ্চবিদ্যালয়ে স্মরণ সভা আয়োজন করা হয়। তাঁর শৈশবের পড়াশোনা এই স্কুল থেকেই শুরু হয়েছিলো। বাবা যখন গয়েরকাটা চা বাগানে কর্মরত ছিলেন সেই সময় গয়েরকাটা হাইস্কুলে হাতেখড়ি পড়াশোনার।
ডুয়ার্সের গয়েরকাটাতে শৈশব কাটলেও পরবর্তীতে জলপাইগুড়ি শহরের হাকিমপাড়া এলাকায় চলে যান। ভর্তি হয়েছিলেন জলপাইগুড়ি জেলা স্কুলে। এজন্য সমরেশ মজুমদারের বিভিন্ন লেখায় বারবার উঠে এসেছে ডুয়ার্স ও জলপাইগুড়ির কথা। সমরেশ মজুমদারের বিভিন্ন লেখায় সব সময় উঠে এসেছে ডুয়ার্সের বায়োকাটা চা বাগান, আংরাভাসা নদী, ডুডুয়া নদীর নাম, খুট্টিমারি জঙ্গলের কথা। ডুয়ার্সের গয়েরকাটার সঙ্গে যেন আত্মার সম্পর্ক ছিল সমরেশ মজুমদারের।