Traffic Jam: রাস্তায় প্রবল যানজট, তিন কিলোমিটার দৌড়ে হাসপাতালে পৌঁছে অস্ত্রোপচার চিকিৎসকের

TV9 Bangla Digital | Edited By: অংশুমান গোস্বামী

Sep 12, 2022 | 4:25 PM

Bengaluru: জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসকের নাম গোবিন্দ নন্দকুমার। তিনি মণিপাল হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজি বিভাগের শল্য চিকিৎসক।

Traffic Jam: রাস্তায় প্রবল যানজট, তিন কিলোমিটার দৌড়ে হাসপাতালে পৌঁছে অস্ত্রোপচার চিকিৎসকের
চিকিৎসক গোবিন্দ

Follow Us

বেঙ্গালুরু: যানজটের জন্য ‘খ্য়াতি’ রয়েছে বেঙ্গালুরু শহরের। সেখানকার বিভিন্ন ব্য়স্ত রাস্তায় প্রায়শই ভয়ঙ্কর যানজট হয়। যার জেরে ট্রাফিকেই আটকে থাকতে হয় মানুষকে। এই যাটজনের জেরে অনেক সময় কর্মক্ষেত্রে সময়ে পৌঁছনো সম্ভব হয় না। সম্প্রতি সে রকমই ঘটনা ঘটেছিল এক শল্য চিকিৎসকের সঙ্গে। হাসপাতালে ওই চিকিৎসকের অধীনে রোগী ভর্তি ছিলেন। তাঁর অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিল। সে জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন ওই চিকিৎসক। কিন্তু বেঙ্গালুরুর রাস্তার যানজটে আটকে পড়েছিলেন তিনি। সারজাপুর থেকে মারাথাল্লি যাওয়ার মধ্যে যাটজটে আটকে ছিলেন তিনি। যানজটে ফেঁসে পেরিয়ে যাচ্ছিল সময়। কিন্তু গাড়ি কিছুতেই এগোচ্ছিল না। এ দিকে অস্ত্রোপচারের জন্য় হাসপাতালের শল্যবিভাগে তাঁর সহকর্মীরা অপেক্ষা করছিলেন। অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও সারা হয়ে গিয়েছিল। তাই গাড়ি থেকে নেমে তিন কিলোমিটার দৌঁড়ে হাসপাতালে পৌঁছে ছিলেন ওই চিকিৎসক। তার পর করেছিলেন অস্ত্রোপচার। সেই ঘটনার কথা ছড়িয়ে পড়ছে নেটমাধ্যমে। চিকিৎসকের এই উদ্যোগের কথা শুনে প্রশংসায় পঞ্চমুখ নেটিজেনরা।

জানা গিয়েছে, ওই চিকিৎসকের নাম গোবিন্দ নন্দকুমার। তিনি মণিপাল হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজি বিভাগের শল্য চিকিৎসক। ৩০ অগস্ট ওই হাসপাতালে গলব্লাডার অপারেশন করার কথা ছিল তাঁর। তা করার জন্য যখন হাসপাতালে আসছিলেন, তখনই ফেঁসে যান যানজটে। তিনি দেরিতে পৌঁছলে রোগীর অবস্থার অবনতি হতে পারে, এই ভেবে গাড়ি থেকে নেমে ছোটা শুরু করেন তিনি। তার পর তিন কিলোমিটার দৌড়ে এসে হাসপাতালে পৌঁছন।

 

ঘটনা নিয়ে ওই চিকিৎসক বলেছেন, “আমি রোজ মধ্য বেঙ্গালুরু থেকে সারজাপুরে মণিপাল হাসপাতালে যায়। সেটি দক্ষিণ-পূর্ব বেঙ্গালুরুতে। অস্ত্রোপচারের জন্য সময়েই বেরিয়েছিলাম আমি। কিন্তু রাস্তা জুড়ে প্রবল যানজট। অস্ত্রোপচারে দেরি হতে পারে দেখে আমি গাড়ি থেকে নেমে দৌড়তে শুরু করি।” তিনি জানিয়েছেন সেই অস্ত্রোপচার সফল হয়েছে।

Next Article