গান্ধীনগর : চলতি বছরের ডিসেম্বরে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে গুজরাতে। তার আগে সেই রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে লাগল গেরুয়া ছোঁয়া। গুজরাত সরকার বৃহস্পতিবার বিধানসভায় ঘোষণা করে যে আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকেই রাজ্যে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণির পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত হবে ভগবত গীতা। গুজরাতের শিক্ষামন্ত্রী জিতু ভাঘানি বিধানসভায় শিক্ষা বিভাগের জন্য বাজেট বরাদ্দ নিয়ে আলোচনার সময় এই ঘোষণা করেন। স্কুল পাঠ্যক্রমে ভগবত গীতার মূল্যবোধ ও নীতিগুলি চালু করার সিদ্ধান্তটি নতুন জাতীয় শিক্ষা নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেন শিক্ষামন্ত্রী। কেন্দ্রের নয়া শিক্ষানীতি আদতে আধুনিকতা এবং প্রাচীন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য এবং জ্ঞান ব্যবস্থার সংমিশ্রণ। এই বিষয়ে গুজরাতের শিক্ষামন্ত্রী বলেন, “আধুনিকতার পাশাপাশি দেশের প্রাচীন সংস্কৃতির প্রবর্তনও জরুরি যাতে শিক্ষার্থীরা ভারতের সমৃদ্ধ এবং বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতি নিয়ে গর্ব বোধ করে।”
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় শিক্ষামন্ত্রী জিতু ভাঘানি বলেন যে সমস্ত ধর্মের লোকেরা প্রাচীন হিন্দু ধর্মগ্রন্থের নৈতিক মূল্যবোধ এবং নীতিগুলিকে গ্রহণ করেছেন। তিনি বলেন, “তাই আমরা ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত স্কুল পাঠ্যক্রমে ভগবত গীতা চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের জন্য শাস্ত্রটি ‘সর্বাঙ্গী শিক্ষা’ (সম্পূর্ণ শিক্ষা) এর পাঠ্যপুস্তকে চালু করা হবে। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত এটি প্রথম ভাষার পাঠ্য বইয়ে গল্পের আকারে চালু করা হবে।”
শিক্ষামন্ত্রী আরও জানান, স্কুলগুলি এই ধর্মগ্রন্থের উপর ভিত্তি করে প্রার্থনা, শ্লোক পাঠ, কম্প্রিহেনশন, নাটক, ক্যুইজ, আঁকা এবং বক্তৃতা প্রতিযোগিতার আয়োজন করবে। মন্ত্রী যোগ করেন যে বই এবং অডিয়ো-ভিডিয়ো সিডির মতো অধ্যয়নের উপাদান সরকার স্কুলগুলিতে সরবরাহ করবে সরকার।
আরও পড়ুন : MEA on OIC : OIC-র বিদেশমন্ত্রীদের বৈঠকে আমন্ত্রিত হুরিয়ত নেতা! ‘জঙ্গিদের প্রশ্রয় নয়’, কড়া বার্তা ভারতের