Bharat Jodo Yatra: রোদ-জল পেরিয়ে শেষের পথে রাহুলের সফরনামা, শ্রীনগরে তিরঙ্গা উত্তোলনে দাঁড়ি পড়বে ভারত জোড়ো যাত্রায়

TV9 Bangla Digital | Edited By: অঙ্কিতা পাল

Jan 03, 2023 | 6:06 AM

Bharat Jodo Yatra: মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশে প্রবেশ করছে ভারত জোড়ো যাত্রা। আর ৩০ জানুয়ারি শ্রীনগরে শেষ হচ্ছে এই প্রায় পাঁচ মাসব্যপী যাত্রা।

Bharat Jodo Yatra: রোদ-জল পেরিয়ে শেষের পথে রাহুলের সফরনামা, শ্রীনগরে তিরঙ্গা উত্তোলনে দাঁড়ি পড়বে ভারত জোড়ো যাত্রায়
ছবি সৌজন্যে: PTI

Follow Us

নয়া দিল্লি: গত ৭ সেপ্টেম্বর শুরু হয়েছিল কংগ্রেসের (Congress) ভারত জোড়ো যাত্রা (Bharat Jodo Yatra)। সংযোগের বার্তা দিতে তৃণমূল স্তরে কর্মীদের মধ্যে সংযোগ বাড়াতে এবং জনসাধারণের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়াতেই এই যাত্রার সূচনা হয়েছিল। ভারতের মূল ভূখণ্ডের সর্বশেষ প্রান্ত কন্যাকুমারী থেকে এই যাত্রার শুভারম্ভ করেছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। প্রায় চারমাস রোদ, বৃষ্টি মাথায় নিয়ে হেঁটে গিয়েছেন তিনি। এবার শেষের মুখে কংগ্রেসের এই জনসংযোগ যাত্রা। ভারত জোড়ো যাত্রা শুরুর ১৫০ তম দিনে ৩০ জানুয়ারি শ্রীনগরে শেষ হবে কংগ্রেসের এই মহা পদযাত্রা।

যাত্রার শেষ দিনে রাহুল গান্ধী শ্রীনগরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করবেন। একটি যৌথ সাংবাদিক সম্মেলনে বক্তব্য রাখার সময় কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক কেসি বেণুগোপাল ও জয়রাম রমেশ জানিয়েছেন, ভারত জোড়ো যাত্রা কন্যাকুমারীর গান্ধী মান্ডাপাম থেকে দিল্লির লালকেল্লা পর্যন্ত ভারত জোড়ো যাত্রা মোট ৩,১২২ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করেছে। গত ১০৮ দিনে ৯ টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মধ্যে দিয়ে এসেছে এই যাত্রা। মোট ৪৯ টি জেলা অতিক্রম করেছে ভারত জোড়ো যাত্রা। তামিল নাড়ু, কেরল, কর্নাটক, অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলঙ্গানা, মহারাষ্ট্র, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান, হরিয়ানা পেরিয়ে বর্তমানে তা দিল্লিতে রয়েছে। মঙ্গলবার এই যাত্রার উত্তর প্রদেশে প্রবেশ করার কথা।

বেণুগোপাল বলেছেন, “২০ জানুয়ারির সন্ধেবেলা জম্মু ও কাশ্মীরে প্রবেশ করবে এই যাত্রা। ৩০ জানুয়ারি পতাকা উত্তোলন করে এই যাত্রার সমাপ্তি হবে।” তিনি বলেছেন, শুধুমাত্র যেখান দিয়ে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা গিয়েছে সেই ১২ রাজ্য ও ২ টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলেই সীমাবদ্ধ থাকেনি এই যাত্রা। রাজ্য স্তরেও বিভিন্ন যাত্রার কথা ইতিমধ্যেই ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। এবং আসন্ন ‘হাত সে হাত জোড়ো অভিযান’ ভারত জোড়ো যাত্রার বার্তা সব ভারতীয়দের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবে। রমেশ বলেছেন, “ভারতের জনগণের কথা শোনার জন্য এটি সত্যিকারের একটি যাত্রা। বিভিন্ন জনসভা, বৈঠকের মাধ্যমে এই যাত্রা সাধারণ জনগণের কথা শুনেছে।” এদিকে ভারত জোড়ো যাত্রায় যেমন বিভিন্ন তারক-তারকা যোগদান করেছেন সেরকমই এই যাত্রায় রাহুল নিজের পাশে পেয়েছেন গোটা গান্ধী পরিবারকে। ভারত জোড়ো যাত্রায় বেরিয়ে মায়ের জুতোর ফিতে বেঁধে দেওয়ার ছবিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। তবে এর পাশাপাশি প্রথম থেকে একাধিক বিতর্কেও জড়িয়েছে এই যাত্রা। এরকমই কিছুটা সাফল্য কিছুটা ব্যর্থতা নিয়ে কংগ্রেসের এই জনসংযোগ যাত্রা শেষ হচ্ছে ৩০ জানুয়ারি।

Next Article