নাগপুর: মহারাষ্ট্রের নাগপুর বিজেপির কাছে বিশেষ জায়গা। এখানেই রয়েছে রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ বা আরএসএস-এর সদর দফতর। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ও বর্তমান উপ-মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবীশ এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতিন গড়করীর ঘরের মাঠ এই নাগপুর। সেখানেই হার স্বীকার করতে হল বিজেপিকে। মহারাষ্ট্রের বিধান পরিষদের ভোটে মহা বিকাশ আগাড়ির (এমভিএ) কাছে হেরে গেল বিজেপি। এই ফল নিয়ে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত মহারাষ্ট্রের বিরোধীরা। শিবসেনা, কংগ্রেস ও এনসিপি-র জোট সরকার ছিল মহারাষ্ট্রের ক্ষমতায়। একনাথ শিণ্ডে শিবির বিজেপি-র হাত ধরায় ক্ষমতাচ্যুত হতে হয়ে জোট সরকারকে। মুখ্যমন্ত্রীর গদি ছাড়তে হয় উদ্ধব ঠাকরেকে। রাজ্যের ক্ষমতায় থেকেও নাগপুরের মতো কেন্দ্রে বিজেপির হারে হাসি ফুটেছে বিরোধী শিবিরে।
বিধানসভার পাশাপাশি মহারাষ্ট্রে রয়েছে বিধান পরিষদ। সেই বিধান পরিষদের শিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত আসনে ছিল নির্বাচন। নাগপুরে মহা বিকাশ আগাড়ি সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন সুধাকর আদবালে। বিজেপি সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন নাগো গানার। সেই ভোটেই শেষ হাসি হেসেছেন এমভিএ-র সুধাকর।
মহারাষ্ট্রের পাঁচটি বিধান পরিষদের আসনের মেয়াদ শেষ হচ্ছে ৭ ফেব্রুয়ারি। সেই আসন পূরণের জন্য ভোট হয়েছে গত সোমবার। এর মধ্যে তিনটি আসন ছিল শিক্ষক এবং ২টি গ্রাজুয়েট কনস্টিটিউয়েন্সির। এই ভোটে যে সমস্ত শিক্ষক এবং স্নাতকরা শর্ত পূরণ করেছেন, তাঁরাই ভোট দিতে পারবেন। পাঁচটি আসনের মধ্যে তিনটি আসনে জিতেছে মহা বিকাশ আগাড়ি। ২০১৯ সালে শিবসেনা, কংগ্রেস এবং এনসিপি-র মধ্যে এই জোট গড়ে ওঠে। এই জোটের সঙ্গে মিলিত লড়াই করেছে বিজেপি এবং একনাথ শিণ্ডে শিবির। কিন্তু পাঁচটির মধ্যে মাত্র একটি আসনে জিততে সমর্থ হয়েছে বিজেপি। এবং একটি আসনে জিতেছেন নির্দল প্রার্থী। নাগপুরের মতো হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে নাসিকে। সেখানে কংগ্রেস প্রার্থী সুধীর তাম্বে নিজের নমিনশন জমা দেননি। সুধীরের ছেলে সত্যজিৎ তাম্বে নির্দল হিসাবে লড়াই করেছেন এবং জিতেছেন। এর পর এই ২জনকেই দল থেকে বহিষ্কার করেছে কংগ্রেস।