আবারও ফিরে আসছে অভিশপ্ত দিনটা, ২৬/১১-র পুনরাবৃত্তি রুখতে বড় পদক্ষেপ সেনার

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Nov 22, 2024 | 10:42 AM

26/11 Attack: জঙ্গিরা জলপথে হামলা চালানোর চেষ্টা করলে, বা সেই ইঙ্গিত চোখে পড়লে প্রথমেই তা রুখে দিতেই এই নিরাপত্তা বলয়ের ভাবনা। কীভাবে এতগুলো বাহিনী, এতগুলো মানুষ একসঙ্গে কাজ করবে, সে ব্যাপারে গাইডলাইন তৈরির কাজ শেষ। এবার হাতে-কলমে সেটা খতিয়ে দেখার পালা। দেশের সবকটি উপকূল এলাকায় এদিন থেকে শুরু হল সি- ভিজিল ২০২৪।

আবারও ফিরে আসছে অভিশপ্ত দিনটা, ২৬/১১-র পুনরাবৃত্তি রুখতে বড় পদক্ষেপ সেনার
ফাইল চিত্র।
Image Credit source: Getty Image

Follow Us

নয়া দিল্লি: আর কয়েকদিন পরই সেই অভিশপ্ত দিন, ২৬ নভেম্বর। মুম্বই হামলার কালো দাগটার কথা মনে ফিরে ফিরে আসবে। মুম্বই হামলায় শহিদদের স্মরণে অনুষ্ঠান, শ্রদ্ধাঞ্জলি হবে। কিন্তু আরও একটা মুম্বই হামলা যে হবে না, তার নিশ্চয়তা গত ১৬ বছরেও মিলল কী? অবাক করার মতো হলেও সত্যি। তেমনই একটা চেষ্টা শুরু হয়েছে। কী চেষ্টা? জলপথে কাসভের মতো আর কেউ যাতে ভারতে ঢুকতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা।

কীভাবে? সমুদ্রের বুকে দূর্ভেদ্য প্রাচীর তুলে। সমুদ্রের বুকে প্রাচীর? এও কী সম্ভব? নৌ-সেনা অফিসাররা বলছেন, কেন নয়? প্রাচীর সবসময় ইঁট, কাঠের হতে হবে, কে বলল? নিরাপত্তার জগতে প্রাচীর মানে বর্ম। সমুদ্রের বুকে লোহার মতো কঠিন বর্ম তৈরি করা হচ্ছে। যাকে ভেদ করে আমাদের দেশে ঢোকা কারও পক্ষেই সম্ভব হবে না। ভারতীয় নৌ-সেনা, উপকূলরক্ষী বাহিনী, উপকূল রক্ষার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ, শুল্ক দফতর, নজরদারি নৌকা ও জাহাজ সঙ্গে মত্‍স্যজীবী – সবাইকে নিয়ে একটি নিরাপত্তা বলয়।

জঙ্গিরা জলপথে হামলা চালানোর চেষ্টা করলে, বা সেই ইঙ্গিত চোখে পড়লে প্রথমেই তা রুখে দিতেই এই নিরাপত্তা বলয়ের ভাবনা। কীভাবে এতগুলো বাহিনী, এতগুলো মানুষ একসঙ্গে কাজ করবে, সে ব্যাপারে গাইডলাইন তৈরির কাজ শেষ। এবার হাতে-কলমে সেটা খতিয়ে দেখার পালা। দেশের সবকটি উপকূল এলাকায় এদিন থেকে শুরু হল সি- ভিজিল ২০২৪।

যে নিরাপত্তা বর্মের কথা বলা হচ্ছিল, তার প্রথম পদক্ষেপ এটা। গোয়া, কেরল, লাক্ষাদ্বীপ, আন্দামান ও নিকোবর হয়ে মতো স্পর্শকাতর এলাকায় মহড়া হচ্ছে। সেনা সূত্রে খবর, সেনার মিশন ২০২৮’র অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ এই সি- ভিজিল বা জলপথে নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা। যাতে যে কোনও নাশকতার সম্ভাবনা থাকলে তা শুরুতেই অকেজো করে দেওয়া যায়।

দেশের তিন বড় জলসীমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তিনটি বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ চেয়েছিল নৌ-সেনা। আইএনএস বিক্রান্ত, আইএনএস বিক্রমাদিত্যর পর তৃতীয় যুদ্ধজাহাজের কাজে হাত দিয়েছে ভারত। এনিয়ে বিভিন্ন মিডিয়া রিপোর্টে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছিল।