নয়া দিল্লি : শনিবার ভার্চুয়ালি কেন্দ্র-রাজ্য সায়েন্স কনক্লেভের সূচনা করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আহমেদাবাদের সায়েন্স সিটিতে এই কনক্লেভের আয়োজন করা হয়েছে। দেশের প্রায় সব রাজ্যের সরকারই এই কনক্লেভে অংশগ্রহণ করেছে। তবে এই অনুষ্ঠান থেকে নিজেদের দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুটি রাজ্য। বিহার ও ঝাড়খণ্ড এই অনুষ্ঠানে তাঁদের অনুপস্থিতির কোনও কারণও সরকারিভাবে জানায়নি।
দু’দিনের জন্য এই কেন্দ্র-রাজ্য সায়েন্স কনক্লেভের আয়োজন করা হয়েছে। দেশজুড়ে একটি শক্তিশালী বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের (STI) ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার উদ্দেশ্যে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয় এবং সহযোগিতার প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করার জন্যই এই কনক্লেভের আয়োজন করা। কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার ছাড়াও এই কনক্লেভে যোগ দিয়েছেন বড় বড় শিল্পপতি, তরণ বিজ্ঞানী ও উদ্ভাবকরা। ডিজিটাল স্বাস্থ্য পরিষেবা, কৃষকদের আয়ের উন্নতির জন্য প্রযুক্তিগত পদক্ষেপ, পরিচ্ছন্ন শক্তি এবং পানীয় জল উৎপাদনের জন্য উদ্ভাবন সহ বিভিন্ন থিমের বিষয়ে এখানে আলোচনা হবে।
এদিকে এই কনক্লেভের মাধ্যমে কেন্দ্র-রাজ্য সমন্বয়ের ডাক দিলেও দেশের পূর্ব ভারতের দুই রাজ্য় বিহার ও ঝাড়খণ্ড এই অনুষ্ঠান থেকে নিজেদের নিরাপদ দূরত্বে রেখেছেন। এর পিছনে কিছুটা রাজনৈতিক কারণ রয়েছে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি বিহারে পতন হয়েছে এনডিএ সরকারে। জেডিইউ প্রধান নীতীশ কুমার বিজেপির হাত ছেড়ে আরজেডি ও কংগ্রেসের সঙ্গে সরকার গঠন করেছে। বর্তমানে নীতীশ ও বিজেপির সঙ্গে মিষ্টি সম্পর্ক নেই। বরং আগামী লোকসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে বিরোধী জোটে শান দিতে একাধিক বিজেপি বিরোধী দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন। আর এদিকে ঝাড়খণ্ডে এখনও রাজনৈতিক টালমাটাল পরিস্থিতি চলছে। বিজেপির বিরুদ্ধে জেএমএম সরকার অভিযোগ করেছে শাসক শিবিরের বিধায়কদের ভাঙিয়ে নিয়ে যাওয়ার। এদিকে গতকালও হেমন্ত সোরেনের ভাই বসন্ত সোরেনের বিরুদ্ধেও বিধায়ক পদ খারিজের দাবি করেছে বিজেপি। এই আবহে দুই রাজ্যেই মোদীর সঙ্গে এই সাক্ষাৎ এড়িয়ে গিয়েছে।