পটনা: বিহারের বিতর্কিত জাতিগত সমীক্ষার (Caste survey) রিপোর্ট প্রকাশিত হল অবশেষে। সোমবার, গান্ধী জয়ন্তীতেই বিহারের মুখ্য সচিব এই সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেন। যার মাধ্যমে রাজ্যের উচ্চ বর্ণ থেকে নিম্ন বর্ণ সহ পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায় সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা প্রকাশ্যে এল। এই রিপোর্ট রাজ্যের সমস্ত সম্প্রদায়ের উন্নতিতে সাহায্য করবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। আবার এটা গোটা দেশের কাছে নজির হল এবং অন্যান্য রাজ্যও এবার এই পথে হাঁটবে বলে দাবি আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদবের।
জাতিগত সমীক্ষার রিপোর্ট অনুসারে, বর্তমানে বিহারে মোট জনগণ রয়েছে ১৩ কোটির বেশি। তার মধ্যে ৩৬ শতাংশ অতিরিক্ত অনগ্রসর শ্রেণি, ২৭ শতাংশ অনগ্রসর শ্রেণি পর্যায়ের মধ্যে রয়েছে। এছাড়া ১৯ শতাংশ তপশিলি জাতি এবং ১.৬৮ শতাংশ তপশিলি উপজাতি সম্প্রদায়ভুক্ত। আর মোট জনগণের মাত্র ১৫.৫২ শতাংশ সাবর্ণ বা উচ্চ সম্প্রদায়ভুক্ত। এছাড়া ভূমিহার ২.৮৬ শতাংশ, ব্রাহ্মণ ৩.৬৬ শতাংশ, কুর্মি ২.৮৭ শতাংশ, মুসাহার ৩ শতাংশ এবং যাদব সম্প্রদায়ভুক্ত রয়েছে ১৪ শতাংশ।
‘সামাজিকভাবে ন্যায়বিচারের জন্য জাতিগত সমীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ’ বলে জানিয়েছিলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সেজন্যই তিনি জাতিগত সমীক্ষা করতে উদ্যত হন। কিন্তু, এটার বিরোধিতা করে পটনা হাইকোর্টে মামলাও হয়েছিল। পটনা হাইকোর্ট এই সমীক্ষায় অনুমতি দিলেও বেশ কিছু সংস্থা সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। তবে সুপ্রিম কোর্টে নীতীশের জয় হয় এবং গত অগাস্টে জাতিগত সমীক্ষা সম্পূর্ণ হয়। এই সমীক্ষার ফলে সকলে উপকৃত হবে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এবার গান্ধী জয়ন্তীতে জাতিগত সমীক্ষার রিপোর্ট প্রকাশ করতেই অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদব। এটা সমগ্র দেশের কাছে নজির হল বলে জানিয়েছেন তিনি।
যদিও নীতীশ সরকারের জাতিগত সমীক্ষা রিপোর্ট কেবল ‘আইওয়াশ’ বলে মন্তব্য করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং। এর বদলে নীতীশ সরকারের ১৮ বছরের শাসনকালের এবং লালু প্রসাদ যাদবের ১৫ বছরের শাসনকালে রাজ্যের উন্নয়নের রিপোর্ট কার্ড দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।