পটনা : রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ওয়াকিবহাল মহলের নজরে এতদিন ছিল মহারাষ্ট্র। সেখানে আপাতত মহানাটকের যবনিকা পতন হয়েছে। আগামিকাল ক্য়াবিনেট গঠনের পথে শিন্ডে-বিজেপি সরকার। এদিকে ওয়াকিবহাল মহলের নজর এখন মহারাষ্ট্র থেকে বিহারের উপর গিয়ে পড়েছে। এখন প্রশ্ন শুধু মহারাষ্ট্রের আদলেই সেখানে বিজেপি-জেডিইউ-র সরকার ভেঙে যেতে পারে কি না। সরকারের পতনের একটা আভাস পাওয়া গেলেও এখানে দানটা হয়ত উল্টো হবে। মহারাষ্ট্রে মহা বিকাশ আগাড়ির সরকার ফেলে ক্ষমতায় এসেছে শিন্ডে-বিজেপি সরকার। তবে এখানে জেডিইউ-বিজেপির জোটে ভাঙন হতে পারে।
যে সময় বিহারের বিজেপি-জেডিইউ জোট ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা উঁকি দিয়েছে সেই পরিস্থিততে জেডিইউ বিধায়ক ও সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক ডেকেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, জেডিইউ-র দলীয় প্রধান রাজীব রঞ্জন সিং বলেছেন, দলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সভাপতি আরসিপি সিংয়ের দল ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর যে পরিস্থিতির উদ্ভব হয়েছে তা নিয়ে আলাোচনার জন্য বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার আগামিকাল দলের সমস্ত বিধায়ক ও সাংসদদের সঙ্গে বৈঠক ডেকেছেন। এর আগেই জানা গিয়েছিল, সরকার পতনের জল্পনার মাঝেই রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী তথা কাটিহারের বিজেপি বিধায়কের সঙ্গে দেখা করতে চলেছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
এদিকে বিহারের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বাড়ছে। বেশ কয়েক মাস ধরেই বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে দেখা গিয়েছে নীতীশ কুমারকেও। জাতিভিত্তিক শুমারি থেকে অগ্নিপথ প্রকল্প, একাধিক বিষয়ে বিজেপির মতাদর্শের বিপরীতেই অবস্থান ধরে রেখেছে জেডিইউ। রাষ্ট্রপতির শপথের দিনও দেখা যায়নি নীতীশকে। তারপর গতকাল নীতি আয়োগের বৈঠকেও অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। এই পরিস্থিতিতে গতকাল রাতেই সরকারের টালমাটাল পরিস্থিতি উঁকি দেয়। জেডিইউ-র সর্বভারতীয় সভাপতি জানিয়েছিলেন,মোদীর মন্ত্রীসভায় কোনও জেডিইউ প্রতিনিধি থাকবেন না। জানা গিয়েছে, এরপর গত রাতেই কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সনিয়া গান্ধীকে ফোন করেছিলেন নীতীশ কুমার। তাই বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে আরজেডি ও কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গড়ার সম্ভবনা দেখা গিয়েছে। উল্লেখ্য, এরকম রাজনৈতিক পরিস্থিতি আগেও দেখা গিয়েছিল বিহারে। ২০১৫ সালেও বিজেপির হাত ছেড়ে আরজেডির সঙ্গে মিলে সরকার গঠন করেছিলেন নীতীশ কুমার।