Nitish Kumar-Sonia Gandhi: বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়তেই সনিয়াকে ফোন নীতীশের, নতুন জোট তৈরি হচ্ছে বিহারে?

TV9 Bangla Digital | Edited By: ঈপ্সা চ্যাটার্জী

Aug 08, 2022 | 8:28 AM

Nitish Kumar-Sonia Gandhi: ২০২০ সালের ভোটের ফল অনুযায়ী বিহারের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি। যদি জেডিইউ ফের একবার আরজেডির সঙ্গে হাত মেলায় এবং কংগ্রেসও সেই জোটে যোগ দেয়, তবে এনডিএ সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী।

Nitish Kumar-Sonia Gandhi: বিজেপির সঙ্গে দূরত্ব বাড়তেই সনিয়াকে ফোন নীতীশের, নতুন জোট তৈরি হচ্ছে বিহারে?
ফাইল চিত্র

Follow Us

পটনা: বিজেপির সঙ্গে বিরোধ-দূরত্বের মাঝেই নয়া মোড়। কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীকে ফোন করলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। জেডিইউ নেতার হঠাৎ এই ফোনেই বিহারে নতুন জোট ও সরকার গঠনের জল্পনা শুরু হয়েছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আরসিপি সিং আনুষ্ঠানিকভাবে জেডিইউ থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরই বিজেপি-জেডিইউ জোটের অন্দরে বিরোধ আরও বাড়ে। বিহারের মুখ্যমন্ত্রী দলের সমস্ত বিধায়ক ও সাংসদদের নিয়ে মঙ্গলবার জরুরি বৈঠকে বসবেন। এরইমাঝে রবিবার বিকেলে হঠাৎ কংগ্রেস নেত্রী সনিয়া গান্ধীকে ফোন করলেন আরজেডি নেতা নীতীশ কুমার। দলের তরফে এই ফোনালাপ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানানো না হলেও, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে এই ফোন অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।

এখনই বিজেপির জোট থেকে বেরিয়ে আসার কোনও ইঙ্গিত না দিলেও, দিনের পর দিন কেন্দ্রীয় বৈঠক-কর্মসূচি এড়িয়ে যাচ্ছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান থেকে অমিত শাহের ডাকা বৈঠক বা গতকালের নীতি আয়োগ বৈঠক- কোনওটিতেই যাননি বিহারের মুখ্যমন্ত্রী। আর মুখ্যমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তকে ঘিরেই দুই দলের মধ্যে দূরত্ব তৈরির জল্পনায় আরও হাওয়া লেগেছে। ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের সময় থেকেই নীতীশ কুমার যে বিজেপির উপরে অসন্তুষ্ট ছিলেন, তা ঘনিষ্ট সূত্রেই জানা গিয়েছিল। সম্প্রতি নানা অনুষ্ঠানে তেজস্বী যাদব ও নীতীশ কুমরকে এক মঞ্চে দেখা যাওয়ায় এবং ইফতারের নিমন্ত্রণ রক্ষায় দুই নেতাই একে অপরের বাড়ি যাওয়ায় ফের একবার আরজেডি-জেডিইউয়ের কাছাকাছি আসার জল্পনা শুরু হয়েছিল। এরমধ্যে সনিয়া গান্ধীকেও গতকাল নীতীশ কুমার ফোন করায় তিন দলের নতুন জোট তৈরি হচ্ছে কিনা, তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

২০২০ সালের ভোটের ফল অনুযায়ী বিহারের বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দল লালু প্রসাদ যাদবের আরজেডি। যদি জেডিইউ ফের একবার আরজেডির সঙ্গে হাত মেলায় এবং কংগ্রেসও সেই জোটে যোগ দেয়, তবে এনডিএ সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিহারের মতো বিপুল জনসংখ্যা ও রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাজ্যে সরকার বদল হলে তা মোদী সরকারের কাছে বড় ধাক্কা হবে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে আরজেডির সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিহারে সরকার গঠন করেছিলেন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার। কিন্তু আড়াই বছরের মধ্যেই সেই জোট থেকে বেরিয়ে এসে বিজেপির হাত ধরেন তিনি। এরপরই তাঁকে বিশ্বাসঘাতকের তকমা দেন পুরনো সতীর্থ লালু প্রসাদ যাদব। অন্যদিকে, ২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় জেডিইউ জানিয়েছিল, কংগ্রেসের সঙ্গে কিছুতেই তারা জোট বাঁধবেন না।

 

Next Article