পটনা: মোদীকে হারিয়ে প্রধানমন্ত্রীর গদি দখলের জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন নীতীশ কুমার। এনডিএ জোট ভেঙে বেরিয়ে আসার পর থেকে এমনটাই অভিযোগ বিহারের আটবারের মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে। যদিও তিনি এই বিষয়ে নিরুত্তাপ। যখনই লোকসভা নির্বাচন নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছে, তিনি জানিয়েছেন যে, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কোনও ইচ্ছাই নেই তাঁর। তাই লোকসভা নির্বাচনেও তিনি অংশ নেবেন না। কিন্তু মুখে যতই না করুন নীতীশ, বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে একজোট করার কাজে তিনি যেভাবে উঠে পড়ে লেগেছেন, তাতে তাঁর উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবেই বোঝা যাচ্ছে। সম্প্রতিই শোনা গিয়েছিল, উত্তর প্রদেশের ফুলপুর থেকে লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চলেছেন নীতীশ কুমার। কিন্তু মঙ্গলবার সেই জল্পনাতেও জল ঢেলে নীতীশ কুমার নিজেই জানান যে, ফুলপুর কেন, উত্তর প্রদেশের কোনও আসন থেকেই তিনি প্রার্থী হতে চান না। লোকসভা নির্বাচনে তাঁর লড়াই করার ইচ্ছে নেই।
গত সপ্তাহের শেষভাগেই জেডিইউ সূত্রে জানা গিয়েছিল, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে উত্তর প্রদেশের ফুলপুর থেকে প্রার্থী হতে পারেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তাঁকে এই আসনে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব। নীতীশ কুমার চাইলে অন্য কোনও আসনও বেছে নিতে পারেন, তাঁকে পূর্ণ সমর্থন জানাবে সমাজবাদী পার্টি। গত রবিবারই জেডিইউয়ের জাতীয় সভাপতি ললন সিং জানান যে, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবার লোকসভা নির্বাচনেও প্রার্থী হতে পারেন। শুধুমাত্র ফুলপুরই নয়, উত্তর প্রদেশের আম্বেদকরনগর ও মির্জাপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকেও তাঁকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
তবে মঙ্গলবার যাবতীয় জল্পনা উড়িয়ে নীতীশ কুমার জানান যে, তিনি ফুলপুর কেন্দ্র থেকে লড়ছেন না। তিনি কেবল ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলিকে একজোট করতে চান। তিনি নিজে না লড়লেও, জোটসঙ্গী আরজেডির নেতা তেজস্বী যাদবকে এগিয়ে দিয়েছেন নির্বাচনে লড়ার জন্য। নীতীশ কুমার বলেন যে, বিহারের উপমুখ্য়মন্ত্রী তেজস্বী যাদব যেন বিরোধী জোটের কাণ্ডারি হন। এরপরই শুরু হয়েছে নতুন জল্পনা। নীতীশ কুমারের বদলে কি লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন লালু-পুত্র?