পটনা : একটা, দুটো নয়… গুনে গুনে ১২টা বিয়ে করলেন এক ব্যক্তি। তাও ভালোবেসে নয়, স্ত্রীদের দেহ ব্যবসায় নামাতেই এই কীর্তি ৩২ বছরের মহম্মদ শামশাদের। তার স্ত্রীদের মধ্যে নাবালিকাও রয়েছে। অভিযুক্ত শামশাদকে গ্রেফতার করেছে বিহারের পুর্ণিয়া পুলিশ। অভিযুক্ত শামশাদ কিষাণগঞ্জ জেলার কোচধামন থানার অনারকলি গ্রামের বাসিন্দা। জানা গিয়েছে অভিযুক্ত শামশাদ নিজের উচ্চ শিক্ষার জন্য তৈরি হচ্ছিল। তবে পাশাপাশি পরপর বিয়ে করে স্ত্রীদের দেহ ব্যবসায় নামিয়ে অসৎ উপায়ে উপার্জনও জারি রেখেছিল সে।
নাবালিকা মেয়েদের বিয়ে করে বিক্রি করার অভিযোগে বিহারের কিষাণগঞ্জ জেলার বাহাদুরগঞ্জ থানা এলাকার কৈডাঙ্গি গ্রাম থেকে আনগড় পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছিল। আনগড়ের এসএইচও পৃথ্বী পাসওয়ান বলেছেন যে ২০১৫ সালের ৮ ডিসেম্বর অভিযুক্তের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল এবং অভিযুক্ত তখন থেকেই পলাতক ছিল। থানার প্রধান জানান, আনগড় থানা এলাকার বিজওয়ারের বাসিন্দা মহাম্মদ হাসিব একটি আবেদন জমা দিয়েছিলেন। তাতে বলা হয়েছিল যে ২০১৫ সালের ২৭ নভেম্বর শামশাদ তাঁর নাবালিকা মেয়েকে বিয়ের অজুহাতে অপহরণ করে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে তদন্ত করে পরবর্তীতে কিষাণগঞ্জের এলআরপি চক থেকে অপহৃত তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তবে, শামশাদ পলাতক ছিল এবং পুলিশকে ফাঁকি দিয়ে বহু বছর সে কাটিয়ে দেয় বলে জানান এসএইচও।
জিজ্ঞাসাবাদে শামশাদ তার অপরাধের কারণ প্রকাশ করে পুলিশের কাছে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত ১২টি মেয়েকে বিয়ে করেছিল। তার বিবাহিত স্ত্রীদের মধ্যে ৮ জন নাবালিকা। পুলিশ জানায়, শামশাদ নিজেকে একজন অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে নিরপরাধ মেয়েদের বিয়ে করত এবং পরে জোর করে তাদের দেহ ব্যবসার দিকে ঠেলে দিত। অভিযুক্ত জানায়, তার বিবাহিত সব মেয়েই মুসলিম সম্প্রদায়ের। সে আরও জানায়, কিষাণগঞ্জ জেলার ঠাকুরগঞ্জের রেড লাইট এলাকায় মেয়েদের দেহ ব্যবসায় নামতে বাধ্য করত সে। সে জানায় পরবর্তীতে সে বাংলায়ও মেয়েদের বিক্রি করে। বেশি টাকার বিনিময়ে পড়শি রাজ্যে নিজের স্ত্রীদের বিক্রি করে সে। ১২ জন মেয়ের মধ্যে ২ জন আনগড় থানা এলাকার এবং বাকি ১০ জন কিষাণগঞ্জ জেলার।