পটনা: রাতারাতি বদলে গিয়েছে তাঁর রাজনৈতিক পরিচয়। বিরোধী দলনেতা থেকে হয়ে গিয়েছেন উপমুখ্যমন্ত্রী। তবে রাজনৈতিক জীবনের মতোই বর্ণময় তেজস্বী যাদবের ব্যক্তিগত জীবন। খ্রিস্টান মেয়েকে বিয়ে করায় কয়েক মাস আগেই চর্চায় এসেছিলেন তিনি। এবার পরিবারের সদস্যদের কীভাবে নিজের পছন্দের কথা জানিয়েছিলেন, তাও বললেন বিহারের নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার একটি সাক্ষাৎকারে তেজস্বী যাদব জানান, কোনও লুকোচাপা না করেই তিনি বাড়িতে জানিয়েছিলেন, যে মেয়েকে তিনি বিয়ে করতে চান, সে খ্রিস্টান। তাঁর পরিবারের তরফেও এই কথা শোনার পর কোনও বিরোধিতা করা হয়নি। বরং ধুমধাম করেই র্যাচেল গোডিনহোর সঙ্গে তেজস্বী যাদবের বিয়ে দেওয়া হয়।
নিজের ‘পারফেক্ট’ জীবনসঙ্গীর বর্ণনা দিতে গিয়ে তেজস্বী যাদব জানান, সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য পারস্পরিক বোঝাপড়া ও সুখ-দুঃখে পাশে থাকার প্রয়োজন। নিজের বিয়ে থেকেও তিনি এইটুকুই আশা করেন। র্যাচেল গোডিনহোর প্রেমে পড়া ও বাড়িতে বিয়ের কথা কীভাবে বললেন, এই প্রশ্নের উত্তরে বিহারের নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী বলেন, “যখন আমি বুঝতে পারি যে জীবনসঙ্গী হিসাবে আমি যাকে খুঁজছি, তা র্যাচেলই। তখন আর দেরি করিনি। সোজা বাবার কাছে গিয়ে জানাই আমি এই মেয়েটির সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছি এবং একেই বিয়ে করতে চাই। কিন্তু ও খ্রিস্টান।”
বাবা লালু প্রসাদ যাদবের উত্তর শুনে কিছুটা আশ্চর্য হয়েছিলেন তেজস্বীও। তিনি বলেন, “সব শুনে বাবা বলেন, ওকে, কোনও সমস্যা নেই আমাদের। আমার মনে হয় লালুজীর সম্পর্কে সকলের এই কথা জানা উচিত”। যেখানে বিহারে জাতপাতের ভেদাভেদের ঘটনা প্রায়সময়ই সামনে আসে, সেখানে প্রবীণ নেতা যে এইসবে বিশ্বাস করেন না, তা জানান ছেলে তেজস্বী।
বোনেদের বিয়ে সম্পর্কেও কথা বলেন তেজস্বী। তিনি জানান, বোনেদের সম্বন্ধ করে বিয়ে দেওয়া হলেও কাউকেই জোর করা হয়নি। তাদের বাবা লালু প্রসাদ যাদব এই বিষয়ে অত্যন্ত আধুনিকমনস্ক, তিনি মেয়েদের পাত্র পছন্দ না হলে, সরাসরি না বলে দেওয়ারই স্বাধীনতা দিয়েছিলেন বলে জানান তেজস্বী। তিনি বলেন, “বিহার সম্পর্কে, আমার বাবা সম্পর্কে বেশ কিছু ধারণা রয়েছে সাধারণ মানুষের মনে। তবে উনি মোটেও ওইরকম কিছু নন। আমার বাবা বরাবর বোনেদের পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়েছেন। বরং তাদেরই সামনে রাখতে পছন্দ করেন তিনি।”