নয়া দিল্লি: বিলকিস বানো মামলার শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী। আর সেই কারণে স্থগিত হয়ে গেল এই মামলার শুনানি। সম্প্রতি বিলকিস বানো গণধর্ষণ কাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ১১ জনকে, তাদের সাজার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই মুক্তি দিয়েছে রাজ্য সরকার। এই আদেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছিলেন বিলকিস বানো। মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর), বিচারপতি অজয় রাস্তোগি এবং বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদীর বেঞ্চ মামলাটি গ্রহণ করে। কিন্তু, তারপরই বিচারপতি রাস্তোগি জানান, তাঁর সহ-বিচারপতি এই মামলার শুনানি থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করতে চান। তিনি বলেন, “মামলাটি এমন এক বেঞ্চে তালিকাভুক্ত করুন, যে বেঞ্চের সদস্য আমরা নই।” তবে, ঠিক কী কারণে বিচারপতি বেলা এম ত্রিবেদী এই মামলার শুনানি থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন, তা জানা যায়নি।
বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলার এক আসামীর সুপ্রিম কোর্টে তাঁর সাজার মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার আগেই মুক্তির আবেদন করেছিলেন। চলতি বছরের ১৩ মে, সুপ্রিম কোর্ট গুজরাট রাজ্য সরকারকে সেই আবেদন বিবেচনা করার নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশের প্রেক্ষিতেই চলতি বছরের ১৫ অগস্ট ওই ১১ জন অপরাধীকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। বিলকিস বানো সুপ্রিম কোর্টের সেই নির্দেশও পুনর্বিবেচনার জন্য আলাদাভাবে আবেদন করেছেন। সেই আবেদনে বিলকিস দাবি করেছেন, রাজ্য সরকার এই ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্টের আইন অগ্রাহ্য করে যান্ত্রিকভাবে এই আদেশ দিয়েছে।
২০০২ সালে গোধরায় ট্রেনে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনার পর যে দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছিল, সেই দাঙ্গারই অন্যতম শিকার বিলকিস বানো এবং তাঁর পরিবার। তাঁকে গণধর্ষণ করা হয়েছিল। সেই সময় ২১ বছরের বিলকিস বানো পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। সেই সঙ্গে তাঁর পরিবারের ৭ সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। যার মধ্যে ছিল তাঁর ৩ বছরের মেয়েও। সিবিআই এই ঘটনার তদন্ত করেছিল। ২০০৮ সালের ২১ জানুয়ারি মুম্বইয়ে এক বিশেষ সিবিআই আদালত অভিযুক্ত ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিল। পরে বম্বে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টও, সিবিআই আদালতের রায় বহাল রেখেছিল।