Anti terror operation: লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গিকে খতমে বড় ভূমিকা বিস্কুটের, কীভাবে?
Anti terror operation: এলাকাটি জওয়ানরা ঘিরে ফেলার পর গুলি চালাতে শুরু করে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি উসমান। তার কাছে একে ৪৭ এবং গ্রেনেড ছিল। একাধিক গ্রেনেডও ছোড়ে। যার ফলে একটি বিল্ডিংয়ে আগুন ধরে যায়। সেই আগুন আশপাশে ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নিভিয়ে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী।
শ্রীনগর: জঙ্গি দমন অভিযান। কয়েক ঘণ্টার অভিযান শেষে নিকেশ করা হয়েছে লস্কর-ই-তৈবার কম্যান্ডারকে। জওয়ানদের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে লস্কর-ই-তৈবার জঙ্গি উসমানের। শ্রীনগরে এই জঙ্গি দমন অভিযানে বড় ভূমিকা রাখল বিস্কুট।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শ্রীনগরের খান্যার এলাকায় গতকাল অভিযান চালায় স্থানীয় পুলিশ ও সিআরপিএফ। এই এলাকা ঘনবসতিপূর্ণ। বড় ক্ষয়ক্ষতি ছাড়া কীভাবে অভিযান চালানো যায়, তার ছক কষে নিরাপত্তা বাহিনী।
এই অভিযানে বিস্কুটের ভূমিকা কী?
ভোররাতে অভিযানে নেমেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। এক আধিকারিক বলেন, অভিযানের সময় রাস্তার কুকুরদের নিয়ে চিন্তায় পড়েন জওয়ানরা। কারণ, জওয়ানদের দেখে ঘেউ ঘেউ করে ডাকতে পারে রাস্তার কুকুরগুলি। তখন সজাগ হয়ে যেতে পারে জঙ্গি। পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেতে পারে। তাই, কুকুরগুলিকে শান্ত করতে বিস্কুটের প্যাকেট সঙ্গে নিয়েছিলেন জওয়ানরা। রাস্তার কুকুরদের বিস্কুট দিয়ে শান্ত করেন। তারপরই ৩০টি ঘর নিয়ে ওই এলাকা ঘিরে ফেলেন জওয়ানরা।
এলাকাটি জওয়ানরা ঘিরে ফেলার পর গুলি চালাতে শুরু করে উসমান। তার কাছে একে ৪৭ এবং গ্রেনেড ছিল। একাধিক গ্রেনেডও ছোড়ে। যার ফলে একটি বিল্ডিংয়ে আগুন ধরে যায়। সেই আগুন আশপাশে ছড়িয়ে পড়ার আগেই তা নিভিয়ে ফেলে নিরাপত্তা বাহিনী।
কয়েক ঘণ্টার লড়াই শেষে জওয়ানরা উসমানকে নিকেশ করে। চার জওয়ানও জখম হয়েছেন। তাঁদের শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গিয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, গত ২০ বছরের বেশি সময় ধরে একাধিক জঙ্গি হামলায় বড় ভূমিকা রয়েছে উসমানের। তার মৃত্যুকে বড় সাফল্য হিসেবে দেখছে নিরাপত্তা বাহিনী। আর এই সফল অভিযানে বড় ভূমিকা নিল বিস্কুটও।