Bankura: ১০০ সদস্য পদ সংগ্রহ করতে পারলেই বড় পুরস্কার… বিতর্কে জড়ালেন বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর
Bankura: সম্প্রতি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা ফেসবুকে পোস্ট করে জানান, যে যে বুথ সভাপতি আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ১৫০ জন সদস্য সংগ্রহ করবেন, তাঁদের একটি করে মোদী জ্যাকেট এবং যে বুথ সভাপতিরা ৭৫ টি করে সদস্য সংগ্রহ করবেন, তাঁদের প্রত্যেককে ১০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
বাঁকুড়া: নির্দিষ্ট সংখ্যায় দলের সদস্য সংগ্রহ করতে পারলে মিলবে দলীয় পদ। এই ঘোষণার পর এবার সদস্য সংগ্রহে আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করে বিতর্কে জড়ালেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা। বিধায়ক নিজের ফেসবুক পোস্টে এই পুরস্কার ঘোষণা করতেই অস্বস্তিতে পড়েছে বিজেপির জেলা নেতৃত্ব। সুযোগ পেয়ে বিষয়টি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল।
দেশ জুড়ে বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান চলছে। বিধায়ক থেকে সাংসদ, দলের উঁচুতলা থেকে নীচু তলা সর্বস্তরে নির্দিষ্ট সংখ্যায় সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করেছে দল। সূত্রের খবর, বাঁকুড়া বিধানসভায় যে সংখ্যক সদস্য সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে তা এখনও ছুঁতে পারেনি বিজেপি নেতৃত্ব। ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে নির্দিষ্ট সেই লক্ষ্যমাত্রা ছুঁতে বিভিন্ন কৌশল নিয়েছেন বাঁকুড়ার বিজেপি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা।
সদস্য অভিযানে গতি আনতে ফেসবুকে পোস্ট করে তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছিলেন বিধানসভার প্রত্যেক পদাধিকারী, শক্তি কেন্দ্র প্রমূখ ও সদস্যরা প্রত্যেককে ১০০ টি করে সদস্য সংগ্রহ করতে হবে। নাহলে আগামীদিনে তিনি দলের পদাধিকারী হতে পারবেন না। দলের পদের প্রলোভন দেখানোর পর এবার সদস্য অভিযানে মোদি জ্যাকেট ও আর্থিক পুরস্কারের প্রলোভন দেখিয়ে ফেসবুক পোস্ট করে বিতর্ক তৈরী করেছেন ওই বিধায়ক।
সম্প্রতি বিধায়ক নীলাদ্রিশেখর দানা ফেসবুকে পোস্ট করে জানান, যে যে বুথ সভাপতি আগামী ৩০ ডিসেম্বরের মধ্যে ১৫০ জন সদস্য সংগ্রহ করবেন, তাঁদের একটি করে মোদী জ্যাকেট এবং যে বুথ সভাপতিরা ৭৫ টি করে সদস্য সংগ্রহ করবেন, তাঁদের প্রত্যেককে ১০০ টাকা করে দেওয়া হবে।
বিধায়কের এই পোস্ট সামাজিক মাধ্যমে তোলপাড় ফেলেছে। বিধায়কের দাবি, দলের কর্মীদের উৎসাহ দিতেই ওই পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে। এদিকে দলীয় বিধায়কের এই পোস্ট নিয়ে চূড়ান্ত অস্বস্তিতে পড়েছে দল। বিষয়টি জানা নেই বলে দাবী করে দলের জেলা সভাপতি বলেন, “বেশি সংখ্যায় সদস্য সংগ্রহ করলে উত্তরীয় দিয়ে তাঁকে সম্মান জানানোর কথা বলা হলেও আর্থিক পুরস্কারের কোনও প্রশ্ন নেই।”
বিধায়ক কীভাবে এই ঘোষণা করলেন তা খতিয়ে দেখতে হবে। তৃণমূল এই ঘটনাকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি। তৃণমূলের দাবি, বিজেপির কোনও কর্মী যেমন এই সদস্য সংগ্রহ করছেন না তেমনই সাধারণ মানুষ বিজেপির সদস্যপদ নিতে চাইছেন না। তাই মরিয়া হয়ে এখন বিজেপি বিধায়ককে আর্থিক পুরস্কারের প্রলোভন দেখাতে হচ্ছে।