Mohun Bagan: শুরুতে গোল হজম, তিন গোলে প্রত্যাবর্তন; জয় দিয়েই বছর শেষ মোহনবাগানের

Mohun Bagan vs Punjab FC: পেনাল্টির ঘটনা বাদ দিলে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন মোহনবাগানের। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে ইনডাইরেক্ট কর্নার নেয় সবুজ মেরুন। বক্সের বাঁ দিক থেকে বল চিপ করেন অনিরুদ্ধ। ফের হেডে গোল আলবার্তো রডরিগেজের। ডিফেন্সে যেমন ভরসা দিচ্ছেন, তেমনই গোলও করছেন।

Mohun Bagan: শুরুতে গোল হজম, তিন গোলে প্রত্যাবর্তন; জয় দিয়েই বছর শেষ মোহনবাগানের
Image Credit source: X
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 26, 2024 | 9:35 PM

টানা পাঁচ ম্যাচ জিতে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে ছিল মোহনবাগান। সব মিলিয়ে আট ম্যাচে অপরাজিত। কিন্তু গত ম্যাচে গোয়ায় গণ্ডগোল। টানা পাঁচটি জয়ের পর হারে জোরালো ধাক্কা লেগেছিল। দিল্লিতে পঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে ঘুরে দাঁড়ানোর লক্ষ্যে নেমেছিল সবুজ মেরুন। বক্সিং ডে ম্যাচের শুরুতেই ধাক্কা। সবুজ মেরুন ডিফেন্সে চূড়ান্ত ভুল বোঝাবুঝি। ম্যাচের মাত্র ১২ মিনিটেই রিকির সৌজন্যে লিড নেয় পঞ্জাব এফসি। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে ২০ বছরের রিকির প্রথম গোল। তবে দ্বিতীয়ার্ধে প্রত্যাবর্তন এবং ৩ গোল। তিন পয়েন্ট নিয়েই মাঠ ছাড়ল। জয় দিয়ে বছর শেষ মোহনবাগানের।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই বক্সের কাছাকাছি ফ্রি-কিক পায় মোহনবাগান। সমতা ফেরানোর সেরা সুযোগ। পঞ্জাব এফসি গোলকিপার বল ফিস্ট করেন। কর্নার থেকে সমতা ফেরায় মোহনবাগান। কর্নার কিক নেন কামিংসই। মাপা ক্রসে হেড আলবার্তো রডরিগেজের। ৪৮ মিনিটেই স্কোর লাইন ১-১। এক মিনিটের ব্যবধানে পরপর হলুদ কার্ড পঞ্জাবের স্ট্রাইকার এজাকুয়েল ভিদালকে। ৫১ মিনিটে ভিদালের রেড কার্ডে দশজনে পরিণত হয় পঞ্জাব।

স্বাভাবিক ভাবেই ডিফেন্সিভ মোডে চলে যায় পঞ্জাব। মাঝে মাঝে কাউন্টার অ্যাটাক। যদিও রেফারির ভুল সিদ্ধান্তে পেনাল্টি পায় মোহনবাগান। অনিরুদ্ধ থাপাকে ফাউলের জন্য পেনাল্টি দেওয়া হয়েছিল। রিপ্লে-তে পরিষ্কার ধরা পড়েছে, অনিরুদ্ধকে ফাউল নয়, ডাইভ দিয়েছিলেন। রেফারি রাহুল কুমার গুপ্তা পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দেন। জেমি ম্যাকলারেনের স্পট কিকে ৬৫ মিনিটে ২-১ লিড নেয় মোহনবাগান। এ মরসুমে রেফারিং নিয়ে নানা অভিযোগ উঠেছে। অতি বড় মোহনবাগান সমর্থকও হয়তো মেনে নেবেন, এটা ভুল সিদ্ধান্ত।

এই খবরটিও পড়ুন

পেনাল্টির ঘটনা বাদ দিলে দুরন্ত প্রত্যাবর্তন মোহনবাগানের। ম্যাচের ৬৯ মিনিটে ইনডাইরেক্ট কর্নার নেয় সবুজ মেরুন। বক্সের বাঁ দিক থেকে বল চিপ করেন অনিরুদ্ধ। ফের হেডে গোল আলবার্তো রডরিগেজের। ডিফেন্সে যেমন ভরসা দিচ্ছেন, তেমনই গোলও করছেন। মোহনবাগানের ব্যবধান আরও বাড়তে পারত। শেষ দিকে মনবীর একটা দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন। সেটি হেলায় নষ্ট করেন। ৩-১ এ জয়ী মোহনবাগান।