শুনেছেন ‘নীরব প্রধানমন্ত্রী’র কটাক্ষ, মনমোহনের একটা কথাই চুপ করিয়ে দিয়েছিল সকলকে

Manmohan Singh: খুব বেশি কথা বলতেন না মনমোহন সিং। দেশের গরিব মানুষদের কথা ভেবে তিনিই প্রথম চালু করেছিলেন ১০০ দিনের কাজ। আবার আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু চুক্তিও করেছিলেন।

শুনেছেন 'নীরব প্রধানমন্ত্রী'র কটাক্ষ, মনমোহনের একটা কথাই চুপ করিয়ে দিয়েছিল সকলকে
প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।Image Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Dec 27, 2024 | 2:12 PM

নয়া দিল্লি: বছর শেষে নক্ষত্র পতন। প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং। শোকে বিহ্বল গোটা রাজনৈতিক মহল। মিতভাষী প্রধানমন্ত্রী ছিলেন অর্থনীতিবিদ। তাঁর হাত ধরেই দেশের অর্থনীতি ভেন্টিলেশন থেকে বেরিয়ে এসেছিল। দেশকে বাঁচিয়েছিলেন দেউলিয়া হওয়ার থেকে। তবে প্রশংসা যেমন থাকবে, তেমন সমালোচনাও। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ১০ বছরের কেরিয়ারে মনমোহন সিংকে বিরোধীদের কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে। শুনতে হয়েছে, ‘নির্বাক প্রধানমন্ত্রী’, ‘কাঠপুতুল প্রধানমন্ত্রী’র মতো খোঁচা। তবে এই সমস্ত কটাক্ষের জবাব দিয়ে গিয়েছিলেন তিনি।

খুব বেশি কথা বলতেন না মনমোহন সিং। তবে বৌদ্ধিক আলোচনায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার ছিল। অর্থনীতি থেকে দেশের সংস্কার- বিভিন্ন বিষয়ে গভীর আলোচনা পছন্দ করতেন তিনি। দেশের গরিব মানুষদের কথা ভেবে তিনিই প্রথম চালু করেছিলেন ১০০ দিনের কাজ। আবার আমেরিকার সঙ্গে পরমাণু চুক্তিও করেছিলেন।

সমালোচকরা তাঁকে ‘সাইলেন্ট পিএম’ বলে দাগিয়ে দিলেও, মনমোহন সিং এটিকে তাঁর নেতৃত্বের স্টাইল বলেই অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন। ২০১৮ সালে তাঁর বই ‘চেঞ্জিং ইন্ডিয়া’-র উদ্বোধনে তিনি বলেছিলেন, “লোকে বলে, আমি নীরব প্রধানমন্ত্রী ছিলাম। আমি মনে করি এই স্বর তাদের কথা তুলে ধরে। আমি সেই প্রধানমন্ত্রী ছিলাম না যিনি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে ভয় পেতাম। আমি নিয়মিত প্রেসের সঙ্গে দেখা করতাম, প্রতিটি বিদেশ সফরে আমি বিমানেই বা বিমান থেকে অবতরণের পরই সাংবাদিক বৈঠক করতাম।”

প্রসঙ্গত, দেশের ত্রয়োদশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন মনমোহন সিং। ২০০৪ সালে প্রথমবার প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০১৪ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি।