শিক্ষকের পরিচয়ের আড়ালে কে এই ব্যক্তি, মুর্শিদাবাদ থেকেই আধার তৈরি করে চলছিল…
Terrorist Link: বরপেটা এবং গোয়ালপাড়া এলাকায় একাধিক মডিউল তৈরি করেছে সাইফুল। ২০২২ সালে সাইফুল এবং তাঁর সঙ্গীরা পাকড়াও হয়। শাদ এবং বাকি সঙ্গীদের জেরা করে মিলেছে নতুন তথ্য।
নয়া দিল্লি: কেবল শাদ রাডি নয়, আরও এক বাংলাদেশি ‘আনসারুল্লা’ নেতার আধার কার্ডও তৈরি হয়েছে এই রাজ্য থেকে। নাম সইফুল ইসলাম ওরফে হারুন রশিদ ওরফে সুমন। তিনি বাংলাদেশের নারায়ণগঞ্জের বাসিন্দা। বাংলাদেশের নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন ‘আনসারুল্লা বাংলা টিম’-এর প্রথম সারির নেতা বলে পরিচিত তিনি।
এনআইএ সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদ হয়ে এই ভারতে ঢোকে সাইফুল। সদ্য কেরল থেকে গ্রেফতার হওয়া শাদ রাডি এবং তার সহযোগীদের মাধ্যমে তৈরি করেন ভারতীয় নথি। তৈরি হয় আধার কার্ড। গোয়েন্দারা জানতে পেরেছেন, অসমের বরপেটায় একটি মাদ্রাসার আরবি শিক্ষকের পরিচয়ের আড়ালে সাইফুল শুরু করেন আনসারুল্লা বাংলা টিমের মডিউল তৈরির কাজ।
বরপেটা এবং গোয়ালপাড়া এলাকায় একাধিক মডিউল তৈরি করেছে সাইফুল। ২০২২ সালে সাইফুল এবং তাঁর সঙ্গীরা পাকড়াও হয়। শাদ এবং বাকি সঙ্গীদের জেরা করে মিলেছে নতুন তথ্য। অসমে সম্প্রতি যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের মডিউলের সঙ্গে সরাসরি যোগ রয়েছে সাইফুলের মডিউলের।
ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া নথি থেকেও মিলেছে নতুন আরও তথ্য। জানা গিয়েছে, আনসারুল্লা বাংলা টিমের অপারেশনাল হেড ইজাজ হোসেন। পাকিস্তান থেকে সমস্ত অপারেশনের পরিকল্পনা করেন নাকি সেই ইজাজ। ২০০৮ সালে বাংলাদেশ থেকে পাকিস্তানে চলে যান তিনি। সম্প্রতি জসিমউদ্দিন রহমানি মুক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশে ফিরেছিলেন ইজাজ, তারপর ফের চলে গিয়েছেন পাকিস্তান।
সাইফুলের বাংলায় তৈরি হওয়া আধার কার্ড যে ভুয়ো, তা নিয়ে অসমের আদালতে রিপোর্ট দিল এনআইএ। সাইফুলের মামলার তদন্ত করছে এনআইএ। এসটিএফ যাদের গ্রেফতার করেছে, তাদের জেরাও করছে এনআইএ।