দার্জিলিং ও নয়া দিল্লি: মঙ্গলের দুই মেগা বৈঠক। বেঙ্গালুরুতে মমতা-সনিয়া-সীতারামরা বিরোধী ঐক্যের সলতে পাকাচ্ছেন। আর এদিকে রাজধানী দিল্লিতে বৈঠকে বসছে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের আগে এই জোড়া বৈঠক ঘিরে কার্যত দু’টি মেরু তৈরি হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা এনডিএ-র বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন পাহাড়ের গোর্খা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টকেও। বিজেপির আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছে জিএনএলএফ। মঙ্গলে দিল্লিতে নরেন্দ্র মোদী, জে পি নাড্ডাদের মেগা বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন জিএনএলএফ সভাপতি মন ঘিসিং।
উল্লেখ্য, পাহাড়ে বিজেপির অন্যতম বন্ধু দল জিএলএলএফ। ২০১৯ সাল থেকে পাহাড়ের রাজনীতিতে একসঙ্গে চলছেন রাজু বিস্তা-মন ঘিসিংরা। এবারের পঞ্চায়েত ভোটেও বিজেপির পাশে থেকেছে তাদের বিশ্বস্ত সঙ্গী জিএনএলএফ। দিল্লিতে এনডিএ-র বৈঠকে মন ঘিসিংদের আমন্ত্রণ পাহাড়ের রাজনীতির সেই বন্ধুত্বকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে বলেই মনে করছেন রাজ্য রাজনীতির পর্যবেক্ষকরা। এবার আর শুধু পাহাড়ের সমীকরণ নয়, জাতীয় রাজনীতির সব খুঁটিনাটির ক্ষেত্রেও বন্ধু জিএনএলএফ-কে পাশে নিয়ে চলতে চাইছে বিজেপি। এই আমন্ত্রণ থেকেই কি সেই বার্তাই দেওয়ার চেষ্টা?
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে বন্ধুত্বের পর থেকে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রাজু বিস্তা ও মন ঘিসিংদের সম্পর্ক আলাদা মাত্রা পেয়েছে। উনিশের লোকসভায় জিএনএলএফ-এর সমর্থন নিয়ে পাহাড়ে ফের একবার পদ্ম ফোটে। সাংসদ হন রাজু বিস্তা। তারপর একুশের বিধানসভা ভোটে পাহাড়ের বন্ধুকেও প্রতি-উপহার দিয়েছিল বিজেপি। দার্জিলিং থেকে বিধায়ক হয়েছেন নীরজ জিম্বা। খাতায় কলমে তিনি বিজেপির বিধায়ক। কিন্তু রাজনীতিতে তিনি জিএনএলএফের নেতা। গত বিধানসভায় জিএনএলএফ নেতাকে টিকিট দিয়ে জিতিয়ে এনেছে বিজেপি। মঙ্গলবার দিল্লিতে এনডিএ-র বৈঠকে জিএনএলএফ-কে আমন্ত্রণ জানানোয় খুশি নীরজ জিম্বাও। ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডাকেও। মঙ্গলরে এই মেগা বৈঠককে ‘ঐতিহাসিক’ বলেও মনে করছেন তিনি।