নয়া দিল্লি: চলতি মাসেই কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন। সমান্তরালভাবে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ চলছে। বেশ কয়েকটি রাজ্য ঘুরে কংগ্রেসের এই মহামিছিল এখন কর্নাটকে রয়েছে। যাত্রার ৩৫ তম দিনে কর্মসংস্থান ইস্যুতে সেরাজ্যের বিজেপির সরকারকে নিশানা করলেন রাহুল গান্ধী। দীর্ঘদিন ধরে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পাশাপাশি বিজেপি শাসিত রাজ্য সরকারগুলিকে কর্মসংস্থান ইস্যুতে নিশানা করেছেন রাহুল। বুধবার বাসবরাজ বোম্মাই সরকারকে নিশানা করে রাহুল বলেন, “বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার যুব সমাজের ভবিষ্যত নষ্ট করে দিচ্ছে।” বোম্মাই সরকারে বিরুদ্ধে আরও গুরুতর অভিযোগ এনেছেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি। তাঁর দাবি, বিজেপি সরকার ‘চাকরি বিক্রি’ করছে এবং সেই কারণে রাজ্যের বেকারত্বের সমস্যা মাত্রাতিরিক্তভাবে বেড়ে গিয়েছে।
कर्नाटक में, भाजपा सरकार नौकरियों की नीलामी कर रही है।
पुलिस सब इंस्पेक्टर का पद ₹80 लाख में बेचा, Asst Prof पद की ‘Sale’, Engineer पद की ‘Sale’
युवा बेरोज़गारी की चपेट में हैं, भाजपा सरकार बेचने में व्यस्त है।
भाजपा का डबल इंजन, कमीशन के साथ-साथ युवाओं का भविष्य खा रहा है। pic.twitter.com/mD9PvAMxSb
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) October 12, 2022
তামিলনাড়ু থেকে শুরু হয়ে কেরল হয়ে ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’ এখন কর্নাটকে প্রবেশ করেছে। কংগ্রেসের যাত্রা এই প্রথম কোনও বিজেপি শাসিত রাজ্যে প্রবেশ করল। কর্নাটকে প্রবেশ করার আগেই এই নিয়ে বিস্তর বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। রাহুলকে স্বাগত জানিয়ে কংগ্রেস নেতাদের ছবি দেওয়া পোস্টার ছেঁড়া নিয়ে রাজনৈতিক চাপান উতর শুরু হয়েছিল। স্থানীয় পুরসভাকে কাঠগড়াতে তুলে কংগ্রেস নেতা কর্মীরা বল্লারি বিক্ষোভ দেখিয়েছে এমন কী মিছিলের আয়োজনও করেছে। বুধবার চল্লেকেরে থেকে শুরু হয়ে হিরেহাল্লিতে শেষ হবে রাহুল নেতৃত্বধীন এই পদযাত্রা।
রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রা শুরু সময় থেকে সংবাদমাধ্যম ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের নজর কেড়েছিল। একদিকে ২২ বছর পর যখন দেশের শতাব্দী প্রাচীন দলে সভাপতি নির্বাচন হবে, তখন একই সঙ্গে রাহুলের নেতৃত্বে এই বিরাট কর্মসূচি নিয়ে রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। গান্ধী পরিবার ঘনিষ্ঠ মল্লিকার্জুন খাড়্গে এবং সাংসদ শশী থারুরের মধ্যে সভাপতি পদের জন্য লড়াই হবে। বিজেপির দাবি সভাপতি পদে কোনও অ-গান্ধী সদস্যদের না লড়াই করা নেহাত ‘আই ওয়াশ’, নব নির্বাচিত সভাপতির রাশ গান্ধীর পরিবারের হাতেই থাকবে। আগামী দিনে ক্ষয়িষ্ণু কংগ্রেসে নতুন কোনও সমস্যা তৈরি হয় কি না, সেটাই এখন দেখার।