তিরুঅন্তনপুরম: কথায় বলে, বয়স তো কেবল সংখ্যামাত্র। সেই কথাকেই এ বার বাস্তবে রূপ দিলেন বিজেপি নেতা অরবিন্দ মেনন। পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির সহ-পর্যবেক্ষক ছিলেন যিনি। কৈলাস বিজয়বর্গীর সঙ্গে জুটি বেঁধে বাংলায় পদ্মফুল ফোটাতে চেয়েছিলেন। পদ্ম অবশ্য ফোটেনি। কিন্তু পদ্ম নেতার জীবনে বিয়ের ফুল ফুটে গিয়েছে। শুক্রবার সাত সকালেই ৫৩ বছর বয়েসে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সম্পাদক। আর তাঁর বিয়ের ছবি সময় নেয়নি ভাইরাল হতে।
সূত্রের খবর, কেরলে ত্রিশূরের এক মন্দিরে একেবারে ঘরোয়াভাবেই বিয়ে সারেন তিনি। মেননেন বিবাহিত স্ত্রী-র নাম শ্রুতি বলে জানা গিয়ে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে। বিয়ের বিষয়টি নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন মেনন। টুইট করে তিনি লেখেন, “গুরুজনদের আশীর্বাদকে পাথেয় করে কেরলের গুরুবায়ুর মন্দিরে ভগবান গুরুবায়ুকে সাক্ষী রেখে আজ গৃহস্থ জীবনে প্রবেশ করলাম। এই শুভদিনে আপনাদের সকলের আশীর্বাদ চাইছি।”
पित्रों के आशीर्वाद से केरल के गुरुवायुर मंदिर में भगवान गुरुवायुर अप्पन को साक्षी मानकर आज गृहस्थ जीवन में प्रवेश कर लिया है।
इस मौक़े पर मैं आप सभी महानुभावों के स्नेह व आशीर्वाद का भी आकांक्षी रहूँगा। pic.twitter.com/Ljw2G0ZS2m— Arvind Menon (@MenonArvindBJP) August 20, 2021
তিনি বিয়ের পর অবশ্য মজার সুরে কেউ কেউ বলছেন, ভাগ্যিস আরএসএস থেকে বিজেপিতে এসেছিলেন মেনন। কারণ সঙ্ঘের প্রচারকদের ক্ষেত্রে বিয়ে-থা করার অনুমতি নেই। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বা অমিত শাহদের মতো নেতারা সাংসারিক বন্ধনে আবদ্ধ না হলেও বিজেপিতে অবশ্য বিয়ে করায় কোনও বাধা নেই। বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা নিজেও পশ্চিমবঙ্গেরই জামাই। যদিও বিয়ের অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গ বা অন্যান্য রাজ্যের বিজেপি নেতাদের মেনন আমন্ত্রণ জানাননি।
যদিও বঙ্গ বিজেপি নেতারা আশা করে রয়েছেন, কলকাতায় একটি রিসেপশন পার্টি বা নৈশভোজের ব্যবস্থা অন্তত করবেন মেনন। কারণ বিগত কয়েক বছর ধরেই কলকাতার সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক সুনিবিড়। ২০১৯ সালের পর থেকে বঙ্গ বিজেপির সাংগঠনিক দিকটা তিনিই দেখভাল করছেন। নিজে দক্ষিণের বাসিন্দা হলেও বাংলাটা পরিষ্কার বলতে পারেন বলে জানাচ্ছেন বিজেপি নেতারা। ফলে নিমন্ত্রণ না পেলেও বঙ্গ বিজেপি নেতারা আপাতত একটা জম্পেস ভোজ খাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। আরও পড়ুন: দিলীপের উত্তরসূরি বেছে নিতে সক্রিয় সঙ্ঘ, বৈঠকে উঠে এল নতুন সম্ভাব্য নাম