মহারাষ্ট্রে নির্বাচনের আগেই ভোটে নগদ ৫কোটি টাকা বিলোনোর অভিযোগ উঠেছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ করেছল কংগ্রেস। শুক্রবার নির্বাচনের ফল ঘোষণারা আগেই মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী মানহানির মামলা করে বসলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী, কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে এবং কংগ্রেসের মুখপাত্র সুপ্রিয়া শ্রীনাতের বিরুদ্ধে। তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ‘মিথ্যা ও ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন তিনি।
বিনোদ বলেন, “দলের নামে কুৎসা করতে, এবং মানুষের সামনে আমার মানহানি করতেই এই অভিযোগ আনা হয়েছে।”
কংগ্রেস নেতারাও অনলাইনে এই তথ্য ছড়িয়ে দেওয়ার সময় জানতেন যে ‘এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং বানানো একটি গল্প’ বলে তিনি উল্লেখ করেন আইনি নোটিসে।
তাওড়ে আরও লেখেন, “সত্যি সবার সামনেই রয়েছে। নির্বাচন কমিশন এবং পুলিশ তদন্তের সময় কোনও ৫ কোটি টাকা বা তার প্রমাণ উদ্ধার করতে পারেনি। এই সব কংগ্রেসের নিম্ন স্তরের রাজনীতির প্রমাণ।”
প্রসঙ্গত, একটি আঞ্চলিক দল, ‘বহুজন বিকাশ আঘাদি’ ভোট শুরু হওয়ার ২৪ ঘন্টা আগে প্রথম দাবি করেন যে বিজেপির নাল্লাসোপারা প্রার্থী, রাজন নায়েক, ভোটারদের প্রভাবিত করার জন্য বিনোদ তাওড়ের উপস্থিতিতে নগদ টাকা বিতরণ করছেন৷
বিভিএ-এর দাবি, একটি হোটেলে নগদে ভর্তি খাম পাওয়া গিয়েছে। সেখানে তাওড়ে এবং বিজেপি প্রার্থী ভোটারদের সঙ্গে যোগাযোগ করছিলেন। ভাইরাল সেই ভিডিওয় বিভিএ সমর্থকদেরা টাকা নাড়াতেও দেখা যায়। এই পর্যন্ত থানায় দুটি মামলা হয়েছে। যদিও নগদ বিতরণের মামলায় বিনোদ তাওড়ের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
জেলা আধিকারিকরা জানান, ৯,৯৩,০০০ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। যদিও বিভিএ-এর অভিযোগ প্রায় ৫ কোটি বিতরণ করা হয়েছে।
বিজেপি এই অভিযোগকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। এমনকি এটিকে রাজনৈতিক স্টান্ট বলেও দাবি করেছে। তাওড়ে দলের কর্মীদের সঙ্গে ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে কথা বলছিল বলে জানায় বিজেপি।
শনিবার মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের ভোট গণনা। তার আগে এই ঘটনায় রাজনীতিতে চাপানউতোর সৃষ্টি করেছে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের।