নয়া দিল্লি : প্রায় পাঁচ বছর ধরে একটু একটু করে বদলেছে কাশী (Kashi)। বিশ্বনাথ মন্দিরের ভক্তদের কথা মাথায় রেখে নিজে সমস্ত পরিকল্পনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অবশেষে আজ সেই কাশী বিশ্বনাথ করিডরের (Kashi Vishwanath Corridor) উদ্বোধন করবেন মোদী। আর এই বিশেষ দিনে একদিকে যখন প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথ মন্দিরে পুজো দেবেন, অন্যদিকে তখন বিজেপির সব নেতা-মন্ত্রীরাই পুজো দেবেন কোনও না কোনও শিব মন্দিরে। গেরুয়া শিবিরে তেমন নির্দেশই দেওয়া হয়েছে নেতাদের।
জানা গিয়েছে, এ দিন গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরে পুজো দেবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন পুজো দেবেন অন্ধ্র প্রদেশের মাল্লিকর্যুন মন্দিরে। মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহান পুজো দেবেন মধ্য প্রদেশের খন্ডওয়ার ওমকারেশ্বর মন্দিরে। উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি পুজো দেবেন খোদ কেদারনাথে, যা এখন বরফে ঢাকা।
বাংলার বিজেপি নেতাদেরও তেমন নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তারকেশ্বরে পুজো দেবেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বর্ধমানের ১০৮ শিব মন্দিরে পুজো দেবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, নিমতলা শ্মশানের কাছে ভূতনাথ মন্দিরে পুজো দেবেন সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
সোমবারই ৩৩৯ কোটি খরচে তৈরি সেই বিশ্বনাথ করিডরের উদ্বোধন করবেন মোদী। বেশির ভাগ বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা সোমবার বারাণসীতে পৌঁছে যাবেন। সারাদিন বারাণসীতেই থাকবেন তাঁরা। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁদের একটি বৈঠক হওয়ারও কথা রয়েছে। এ দিন গোটা দেশজুড়ে দিব্য কাশী, ভব্য কাশী কর্মসূচি পালন করার পরিকল্পনা করেছে বিজেপি।
কাশী বিশ্বনাথ মন্দির ট্রাস্টের ওয়েবসাইট অনুযায়ী, বিখ্যাত ধর্মীয় স্থানটি ‘স্বর্ণ মন্দির’ নামেও পরিচিত। বহু পুরনো মানচিত্রে এই নামের উল্লেখ দেখা যায়। সোমবার প্রধানমন্ত্রী কাশীতে আসার আগে গোটা এলাকা মুড়ে ফেলা হয়েছে নিরাপত্তা বলয়ে। অতিরিক্ত বাহিনীর সহায়তায় পুলিশের একটি দল মন্দির চত্বরে, পাবলিক স্কোয়ারে মোতায়েন করা হয়েছে। সবকিছু যাতে সুষ্ঠুভাবে হয় তা নিশ্চিত করতে রাস্তাতেও বাড়ানো হয়েছে টহলদারি।
২০১৯- এর 8 মার্চ সেই কাশী বিশ্বনাথ করিডর প্রকল্পের শিলান্যাস করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একদিকে যেমন জমি সংক্রান্ত সমস্যা এই প্রকল্পের অন্যতম অন্তরায় ছিল, অন্যদিকে প্রকল্পের ডিজাইন কী হবে সেটাও ছিল একটা বড় চিন্তার বিষয়। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে তাঁর পরিকল্পনা দিয়ে পুরো প্রকল্প সাজিয়েছেন। প্রকল্পের থ্রি ডি মডেল নিজে খতিয়ে দেখেছেন তিনি। ডিজাইন নিয়ে একাধিকবার মত প্রকাশও করেছেন প্রধানমন্ত্রী। শুধু প্রকল্পের পরিকল্পনা করাই নয়, সেই পরিকল্পনা রূপায়নের ক্ষেত্রেও বিশেষ ভূমিকা ছিল নরেন্দ্র মোদীর। অবশেষে প্রাণ পাচ্ছে তাঁর সেই স্বপ্নের প্রকল্প।