নয়া দিল্লি: রাহুল গান্ধীর লোকসভার সদস্যপদ খারিজ করার দাবি তুললেন বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে। সূত্রের খবর, শুক্রবার সংসদীয় প্রিভিলেজ কমিটির সামনে হাজির হয়ে এমন দাবি তোলেন বিজেপি সাংসদ। এর আগে রাহুলের বিরুদ্ধে সংসদে স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ করেছিলেন নিশিকান্ত। বাজেট অধিবেশনের প্রথম অংশে বক্তৃতা দেওয়ার সময়, হিন্ডেনবার্গ-আদানি ইস্যুতে মোদী সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন রাহুল গান্ধী। সেই প্রেক্ষিতে ৭ ফেব্রুয়ারি নিশিকান্ত দুবে কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে স্বাধিকার ভঙ্গের নোটিশ পাঠিয়েছিলেন। সেই নোটিশের বিষয়ে এদিন সংসদীয় প্যানেলের সামনে নিজের বক্তব্য পেশ করেন বিজেপি সাংসদ। সেই সময়ই লোকসভা থেকে রাহুল গান্ধীর সদস্যপদ খারিজ করার আবেদন করেন নিশিকান্ত দুবে।
লোকসভার স্বাধিকার রক্ষা কমিটির সভাপতি তথা বিজেপি সাংসদ সুনীল সিং এদিন নিশিকান্ত দুবেকে স্বাধিকার রক্ষা কমিটির সামনে সাক্ষী হিসাবে উপস্থিত হতে বলেছিলেন। এই কমিটিতে সুনীল সিং ছাড়াও আছেন তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্য়ায়, কংগ্রেসের কে সুরেশ, সিপি জোশী, ডিএমকের টিআর বালু, বিজেপির দিলীপ ঘোষ, রাজু বিস্তা এবং গণেশ সিং। কে সুরেশ এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান এই ধরনের স্বাধীকার লঙ্ঘনের অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। কারণ ইতিমধ্যেই রাহুল গান্ধীর বক্তব্য লোকসভার কার্যবিবরণী থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। এদিন, সংসদে উপস্থিত না থাকলেও, প্যানেলকে একটি চিঠি লিখে ডিএমকে সাংসদ টিআর বালু জানিয়েছেন, রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে কোনও যুক্তিই নেই।
তবে, বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে জানান, রাহুল গান্ধীর মন্তব্য লোকসভার স্পিকার খারিজ করে দিয়েছিলেন ঠিকই। কিন্তু, সেই বক্তব্যগুলি এখনও রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস দলের অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে রয়েছে। এরপরই বিজেপি সাংসদ বলেন, “শুধু একটি নয়, তিন ধরনের স্বাধিকার ভঙ্গের অভিযোগ রয়েছে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে। এই অপরাধ তিনি বারংবার করেছেন। তাই তাঁর সদস্যপদ বাতিল করা উচিত।” রাহুল গান্ধীর করা সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে, নিজের বক্তব্য প্রমাণ করার জন্য প্রয়োজনীয় নথি এবং প্রতিবেদনও পেশ করেছেন নিশিকান্ত দুবে। রাহুল গান্ধীকে লোকসভা থেকে অপসারণের দাবি জোরালো করতে, ১৯৭৬ সালে সুব্রমনিয়ান স্বামীকেও যে রাজ্যসভা থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল, সেই ঘটনার উল্লেখ করেন বিজেপি সাংসদ।