নয়া দিল্লি: রাজস্থানে তিনটি আসন নিজেদের দখলে রাখতে পারলেও হরিয়ানায় পিছিয়ে পড়েছে কংগ্রেস। আর মহারাষ্ট্রে বড়সড় ধাক্কা খেয়েছে শাসক দল। রাজ্যসভা ভোটে মূলত মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, রাজস্থান ও হরিয়ানায় চলেছে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। ক্রস ভোটিং-এর অভিযোগও এসেছে। নিয়ম ভাঙার অভিযোগ ওঠায় দীর্ঘক্ষণ গণনা বন্ধ ছিল মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায়। মহারাষ্ট্রে প্রায় আট ঘণ্টা পিছিয়ে যায় গণনা।
ভোট প্রক্রিয়া নিয়ে অভিযোগ ওঠায় গণনা অনেকটাই দেরিতে শুরু হয় মহারাষ্ট্রে। কিন্তু সে রাজ্যে শাসক জোট ভাল ফল করতে পারেনি। শিব সেনা, এনসিপি ও কংগ্রেস মিলে পেয়েছে মাত্র তিনটি আসন, আর ওই রাজ্যেই বিজেপির প্রাপ্তি তিন। মহারাষ্ট্রে ক্রস ভোটিং-এর অভিযোগ ওঠায় মূলত গণনা পিছিয়ে যায়। বিজেপি ও শাসক জোট উভয়েই ভোট বাতিলের দাবিতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়। শাসক জোট তথা মহা বিকাশ আগাড়ির দাবি ছিল, এক বিজেপি বিধায়ক ও এক নির্দল বিধায়কের ভোট বাতিল করতে হবে। অন্যদিকে, বিজেপিও দাবি করে, শাসক জোটের তিন বিধায়কের ভোট বাতিল করতে হবে। পরে সেই জট কেটে গেলে শুরু হয় গণনা।
ওই রাজ্যের ষষ্ঠ আসনে বিজেপির ধনঞ্জয় মহাদিকের কাছে হেরে গিয়েছেন শিব সেনার সঞ্জয় পাওয়ার। শনিবার ভোরে সেই ফলাফল সামনে এসেছে। অপ্রত্যাশিতভাবে ১০ টি ভোট বিজেপির ঝুলিতে গিয়েছে। এ ছাড়া জয়ী হয়েছেন বিজেপির পীযূষ গোয়েল, অনিল বোন্দে। আর শাসক জোটের তরফে জয়ী হয়েছেন কংগ্রেসের ইমরান প্রতাপগড়ি, এনসিপি-র প্রফুল পটেল ও শিব সেনার সঞ্জয় রাউত। পীযূষ গোয়েল ও অনিল বোন্দে উভয়েই ৪৮ টি করে ভোট পেয়েছেন। একজন প্রার্থীর জেতার জন্য ৪১ টি করে ভোট প্রয়োজন।
এ ছাড়া কর্ণাটকেও সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। এই রাজ্যের চারটি রাজ্যসভা আসনের মধ্যে তিনটি আসনে জিতেছে বিজেপি, আর একটি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। কর্ণাটক জেডিএস তথা জনতা দল (সেকুলার)-এর আঁতুড়ঘর হলেও, রাজ্যসভা নির্বাচনে একটি আসনেও জিততে পারেনি কুমারস্বামীর দল। বিজেপির পক্ষে জয় নিশ্চিত ছিল কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং জগেশ-এর। তৃতীয় আসনে জয় পেয়েছেন লেহার সিং সিরোয়া। অন্যদিকে কংগ্রেসের একমাত্র জয়ী প্রার্থী প্রাক্তন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী জয়রাম রমেশ।