Karnataka BJP Leader Murder : বাড়ি ফেরার পথে খুন সহকর্মী, বিক্ষোভ দেখিয়ে ইস্তফা বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীদের

TV9 Bangla Digital | Edited By: অঙ্কিতা পাল

Jul 28, 2022 | 3:23 PM

Karnataka BJP Leader Murder : কর্নাটকে খুন বিজেপি যুব মোর্চার কর্মী প্রবীণ নেত্তারু। এই ঘটনায় কর্নাটনের বিভিন্ন প্রান্তে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যুব মোর্চার একাধিক নেতা একসঙ্গে ইস্তফা দিতে শুরু করেছে এই ঘটনার পর।

Karnataka BJP Leader Murder : বাড়ি ফেরার পথে খুন সহকর্মী, বিক্ষোভ দেখিয়ে ইস্তফা বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীদের
গ্রাফিক্স সৌজন্য়ে : টিভি৯ বাংলা

Follow Us

বেঙ্গালুরু : বিজেপি যুব মোর্চার কর্মীর মৃত্যু ঘিরে উত্তাল কর্নাটকের দক্ষিণ প্রান্ত। বিজেপি কর্মীর মৃত্যু ঘিরে স্লোগান তুলেছে বিজেপি কর্মীরা। তাঁরা সহকর্মীর মৃত্যুতে সুবিচারের দাবি তুলেছেন। স্লোগান উঠেছে,’আমরা সুবিচার চাই’। কর্নাটকের বেশ কিছু জায়গায় বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীরা সম্মিলিতভাবে ইস্তফা দেওয়া শুরু করেছেন।

৩২ বছর বয়সী প্রবীণ নেত্তারু। পোল্ট্রির দোকানের মালিক। সঙ্গে ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার সক্রিয় সদস্য বলেই পরিচিত। মঙ্গলবার রাতে নিজের পোল্ট্রির দোকান বন্ধ করে ফিরছিলেন প্রবীণ। সেই সময় কিছু অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি তাঁর উপর আক্রমণ করে। ধারাল অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় তারা। রাস্তায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকেন নেত্তারু। তারপর স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে খবর দেন। ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ রক্তাক্ত প্রবীণকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাই। তিনি টুইটে লিখেছেন, ‘আমাদের দলের দক্ষিণ কর্নাটকের কর্মী প্রবীণ নেত্তারুর এই নৃশংস খুন লজ্জাজনক। এই জঘন্য কাজ যারা করেছে তাদের খুব শীঘ্রই গ্রেফতার করা হবে এবং শাস্তি দেওয়া হবে। এই বেদনা সহ্য করার শক্তি ভগবান ওঁর পরিবারকে দিক। ওম শান্তি।’

ইতিমধ্যেই প্রবীণের খুনের ঘটনায় তদন্ত শুরু হয়েছে। খুনিদের নাগাল পেতে পুলিশের ছয়টি টিম গঠন করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এখনও পর্যন্ত ১৫ জনকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। কেরাল, মাদিকেরি ও হাসানেও পুলিশের তিনটি দল পাঠানো হয়েছে। তবে পুলিশি তৎপরতা দেখা গেলেও বিজেপি কর্মীরা সহকর্মীর হত্যাকে ঘিরে ফেটে পড়েছেন। বেল্লারে ও সুল্লিয়াতে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ বনধের ডাক দিয়েছে। এদিকে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিজেপির যুব মোর্চার কর্মীরা একসঙ্গে দল থেকে ইস্তফা দিতে শুরু করেছে। তাঁদের অভিযোগ, বিজেপির নেতৃত্বাধীন দলের কর্মীদের জীবনকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। প্রকাশিত ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, রাজ্যের বিজেপি সভাপতি নলিন কুমার কাতিলের গাড়িকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখা গিয়েছে।

কর্নাটকের বেশ কিছু জায়গায় উত্তেজনার ছবি দেখা যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে। জেলা পুলিশের প্রধান রুশিকেশ সোন্নায় জানিয়েছেন, ‘তিনজন হত্যাকারী বাইকে এসেছিল। আমাদের কাছে খবর রয়েছে, বাইকের কেরলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর রয়েছে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছি।’ এদিকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগা জ্ঞানেন্দ্র জানিয়েছেন, খুনের জায়গার কাছাকাছি কেরলের সীমানা। প্রতিবেশী রাজ্যের পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। কর্নাটকের উদুপি ও দক্ষিণ কান্নাড়া জেলায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে বেশিরভাগ দোকান-হোটেল বন্ধ রয়েছে। সেখানে বেশ কিছু স্কুলে ছুটিও ঘোষণা করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগেও এক বিজেপি কর্মীর খুন ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল কর্নাটকের বেশ কিছু জায়গায়।

Next Article