RJD: ‘দেশদ্রোহের মামলা করা উচিত’, নতুন সংসদকে ‘কফিন’ তকমা দেওয়ায় তুলোধনা বিজেপির

RJD's coffin post: নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন নিয়ে বিতর্ক চলছেই। এই বিতর্কে নয়া মাত্রা যোগ করল আরজেডি। রবিবার (২৮ মে) নয়া সংসদ ভবনকে কফিনের সঙ্গে তুলনা করল লালুপ্রসাদ যাদবের দল। আর এরপরই রাষ্ট্রীয় জনতা দলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনার দাবি তুলল বিজেপি।

RJD: 'দেশদ্রোহের মামলা করা উচিত', নতুন সংসদকে 'কফিন' তকমা দেওয়ায় তুলোধনা বিজেপির
নতুন সংসদ ভবনকে কফিনের সঙ্গে তুলনা আরজেডির
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: May 28, 2023 | 12:58 PM

নয়া দিল্লি: নতুন সংসদ ভবন উদ্বোধন নিয়ে বিতর্ক চলছেই। কংগ্রেস, তৃণমূল কংগ্রেস, আপ-সহ দেশের মোট ২০টি বিরোধী দল এই উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কট করেছে। তার মধ্যেই সেঙ্গোল রাজদণ্ড স্থাপন করে এবং পূজা ও হোম-যজ্ঞের মধ্য দিয়ে নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। উদ্বোধনের পরও অবশ্য বিতর্কের অবসান হয়নি। এরই মধ্যে এই বিতর্কে নয়া মাত্রা যোগ করল আরজেডি। রবিবার (২৮ মে) নয়া সংসদ ভবনকে কফিনের সঙ্গে তুলনা করল লালুপ্রসাদ যাদবের দল। আর এরপরই রাষ্ট্রীয় জনতা দলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ আনার দাবি তুলল বিজেপি। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিহারের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুশীল কুমার মোদী বলেছেন, “এর থেকে দুর্ভাগ্যের আর কী বা হতে পারে? ওদের মস্তিষ্ক বলে কিছু নেই। এই নতুন সংসদ ভবনটি জনগণের টাকায় তৈরি করা হয়েছে। উদ্বোধন অনুষ্ঠান বয়কট করলেও, সব দলের প্রতিনিধিরা সেখানে সংসদীয় কর্মকাণ্ডে অংশ নেবে। আরজেডি কি বরাবরের মতো সংসদ বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে? তাদের সাংসদরা কি লোকসভা ও রাজ্যসভা থেকে পদত্যাগ করবেন?”

এদিন আরজেডির সরকারি টুইটার হ্যান্ডেল থেকে একটি কফিনের ছবির পাশাপাশি, নয়া সংসদ ভবনের একটি ছবি পোস্ট করা হয়। সঙ্গের ক্যাপশনে লেখা হয়, ‘ইয়ে ক্যা হ্যায়?’ এই প্রসঙ্গে সুশীল মোদী বলেন, “ওরা একটা কফিনের ছবি ব্যবহার করেছে। এর থেকে অসম্মানজনক আর কী হতে পারে? এটা একটা রাজনৈতিক দলের সস্তা মানসিকতার পরিচয় দেয়। এটা একটা শুভ দিন, দেশের জন্য গর্বের দিন। একটি নতুন সংসদ ভবন দেশকে উৎসর্গ করা হচ্ছে। সেই সময় একে একটি কফিনের সঙ্গে তুলনা করা হল। এই ছবিই তারা টুইট করেছে। এই ধরনের লোকদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করা উচিত।” বিজেপি মুখপাত্র গৌরব ভাটিয়া বলেছেন, “দেশের মানুষ আপনাদের ২০২৪ সালে এই একই কফিনে সমাধী দেবে এবং আপনাকে গণতন্ত্রের নতুন মন্দিরে প্রবেশের সুযোগ দেবে না। মানুষ ঠিক করে নিয়েছে, সংসদ ভবনটি দেশের এবং কফিনটি আপনাদের জন্য।”

আরজেডি-র অফিসিয়াল হ্যান্ডেল অবশ্য পোস্টটির অন্য ব্যখ্যা দেওয়া হয়েছে। আরজেডি নেতা শক্তি সিং যাদব বলেছেন, “আমাদের টুইটে কফিনের ছবিটি গণতন্ত্রকে কফিনবন্দি করে দেওয়ার প্রতীক। সংসদ গণতন্ত্রের মন্দির, আলোচনার জায়গা। কিন্তু তারা তাদের সংসদকে ভিন্ন দিশায় নিয়ে যেতে চাইছে। দেশ তা মেনে নেবে না। এটা সংবিধান ও ঐতিহ্যের লঙ্ঘন। সংবিধান অনুযায়ী রাষ্ট্রপতিই সংসদের সর্বেসর্বা। আমরা প্রধানমন্ত্রীকে বলতে চাই গণতন্ত্রকে কফিন বন্দি করবেন না।”

যে ২০টি দল এদিন নয়া সংসদ ভবনের উদ্বোধন বয়কট করেছে, তাদের মধ্যে অন্যতম ছিল আরজেডি। আগেই তারা জানিয়েছিল, রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে সম্পূর্ণভাবে পাশ কাটিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর নিজেই নতুন সংসদ ভবনের উদ্বোধন করবেন বল সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই সিদ্ধান্ত শুধু রাষ্ট্রপতির গুরুতর অপমান নয়, আমাদের গণতন্ত্রের উপর সরাসরি আক্রমণ। এই অমার্জিত কাজ রাষ্ট্রপতির পদের অপমান করে এবং সংবিধানের লেখা এবং চেতনার লঙ্ঘনকারী। প্রথম মহিলা আদিবাসী রাষ্ট্রপতির মধ্য দিয়ে দেশ যে অন্তর্ভুক্তির চেতনাকে উদযাপন করেছিল, সেই চেতনাকে ক্ষুন্ন করেছে প্রদানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্ত। এবার এই ‘কফিন বিতর্কে’র জল কতদূর গড়ায় সেটাই দেখার।