‘প্রসাদের মতো করোনা বিলি করবে কুম্ভ ফেরত যাত্রীরা’, মুম্বইয়ে সম্পূর্ণ লকডাউনের দাবি মেয়রের

মুম্বইয়ের মেয়র বলেন, "৯৫ শতাংশ মুম্বইবাসীই করোনাবিধি মেনে চলছেন। যে ৫ শতাংশ মানুষ সেই নিয়ম মানছেন না, তাঁরাই বাকিদের জন্য বিপদের সৃষ্টি করছে। সম্পূর্ণ লকডাউনের প্রয়োজন।"

'প্রসাদের মতো করোনা বিলি করবে কুম্ভ ফেরত যাত্রীরা', মুম্বইয়ে সম্পূর্ণ লকডাউনের দাবি মেয়রের
সামাজিক দূরত্ব ভুলে গঙ্গার ঘাটের পথে সাধু সন্ন্যাসীরা। ছবি:PTI
Follow Us:
| Updated on: Apr 17, 2021 | 3:11 PM

মুম্বই: এমনিতেই করোনার দ্বিতীয় ঢেউ সামলাতে নাজেহাল মহারাষ্ট্র। তার উপর কুম্ভ মেলা থেকে যে সমস্ত পুণ্যার্থীরা ফিরছেন, তাঁরা প্রসাদের মতো করোনা বিতরণ করবেন, এমনটাই মত মুম্বইয়ের মেয়র কিশোরী পেডনেকরের। তিনি জানান, হরিদ্বার থেকে আগত যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইন করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে, তবে এর যাবতীয় খরচ যাত্রীদেরই বহন করতে হবে।

করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে নাজেহাল গোটা দেশ। রাজ্যভিত্তিক সংক্রমণের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। দৈনিক আট হাজার আক্রান্ত নিয়ে করোনায় ব্যপকভাবে প্রভাবিত বাণিজ্যনগরী মুম্বইও। অন্যদিকে, হরিদ্বারে আয়োজন করা হয়েছে কুম্ভমেলার। সামাজিক দূরত্ব সহ যাবতীয় স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই প্রতিদিন লক্ষাধিক দর্শনার্থী গঙ্গাস্নান করায় দ্রুত হারে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যেই দুটি আখড়া মেলা থেকে ফেরত চলে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

এই পরিস্থিতিতে যে কোনও রাজ্যেই কুম্ভ থেকে আগত ব্যক্তিরা গেলে করোনা সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে বলে জানান বৃহ্নমুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের মেয়র কিশোরী পেডনেকর। গত বছরের দিল্লি নিজামুদ্দিনের তুলনা টেনে তিনি বলেন, “কুম্ভ থেকে যাঁরাই ফিরবেন, তাঁরা যে রাজ্যে যাবেন, সেখানেই প্রসাদের মতো করোনা বিলি করবেন। রাজ্যগুলির উচিত আগত যাত্রীদের খরচেই তাঁদের কোয়ারেন্টাইন করা। মুম্বইতেও বড় বড় হোটেলগুলিকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে পরিকল্পনা করার পরিকল্পনা চলছে। কুম্ভ থেকে আগত যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইন করার পরিকল্পনা চলছে।”

মুম্বইয়ের করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণ হিসাবে তিনি জানান, ৯৫ শতাংশ মুম্বইবাসীই করোনাবিধি মেনে চলছেন। যে ৫ শতাংশ মানুষ সেই নিয়ম মানছেন না, তাঁরাই বাকিদের জন্য বিপদের সৃষ্টি করছে। বর্তমানে পরিস্থিতিতে সম্পূর্ণ লকডাউন করা প্রয়োজন বলেই মনে করছেন তিনি।

গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ৭২৯ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩৯৮ জনের। এরমধ্যে মুম্বইতেই আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা যথাক্রমে ৮ হাজার ৮০৩ ও ৫৩। রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে একাধিকবার লকডাউনের কথা বললেও বাকিরা সহমত না হওয়ায় আপাতত রাজ্যজুড়ে ১৫ দিনের কার্ফু জারি করা হয়েছে। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও পরিষেবা ছাড়া বাকি সমস্ত যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে বাড়ি থেকে বের হতেও বারণ করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: লালকেল্লায় হিংসা: জামিন পেলেন অভিনেতা দীপ সিধু, যেতে পারবেন না দেশের বাইরে