রাঁচী: কিশোরীর গায়ে পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেওয়ার ক্ষত এখনও শুকোয়নি, এরইমধ্যে এবার উদ্ধার হল এক মহিলার আধ পোড়া দেহ। ঘটনাস্থল সেই ঝাড়খণ্ড। বুধবার বিকেলে ঝাড়খণ্ডের দুমকা জেলা থেকে এক মহিলার আধ পোড়া দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, দেহটি এতটাই পুড়ে গিয়েছে যে মৃতার পরিচয় জানা অসম্ভব। অন্যদিকে, দেওঘর থেকেও এক কিশোরের মুণ্ডুকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুমকার তালজহরি পুলিশ স্টেশনের অন্তর্গত পাহাড়পুর গ্রাম থেকে ওই মহিলার আধপোড়া দেহ উদ্ধার হয়েছে। কিন্তু মৃতার চেহারা এমনভাবে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে যে তাঁর পরিচয় জানা যাচ্ছে না। সাব ডিভিশনাল পুলিশ অফিসার শীবেন্দ্র জানিয়েছেন, গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। আশেপাশের এলাকাতেও জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, স্থানীয় বাসিন্দারাই একটি ঝোপের ধারে ওই আধ পোড়া দেহটি পড়ে থাকতে দেখে। সঙ্গে সঙ্গে তারা পুলিশে খবর দেন। কিছুক্ষণ পর পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেহ উদ্ধার করে। দেহের গড়ন দেখে কোনও যুবতী বা মধ্য বয়সী মহিলার দেহ বলেই মনে করা হচ্ছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুমান, রাতের অন্ধকারেই ওই মহিলাকে খুন করে তাঁর দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। যে জায়গা থেকে দেহটি উদ্ধার করা হয়েছে, সেখানের নমুনাও সংগ্রহ করা হয়েছে।
অন্যদিকে, দেওঘর জেলা থেকেও একটি ব্যাগের ভিতর থেকে একটি মুণ্ডুকাটা দেহ উদ্ধার হয়েছে। কিশোরের দেহ বোঝা গেলেও, তাঁরও পরিচয় জানা যায়নি। গ্রামবাসীরাই ওই ব্যাগটিকে ক্ষেতের ধারে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেন। ওই দেহটিকেও স্থানীয় হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আশেপাশের এলাকার থানাগুলিতেও খবর দেওয়া হয়েছে দেহ শনাক্তকরণের জন্য।
সম্প্রতিই গত ২৩ অগস্ট দুমকা শহরে এক কিশোরীর উপরে পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেয় এক যুবক। ওই ঘটনাকে ঘিরে তোলপাড় শুরু হয়। ৯০ শতাংশ জ্বলে গিয়েছিল ওই কিশোরীর দেহ। গতকালই ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়। এরপরই রাজ্য সরকারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। এরইমাঝে একইদিনে দুটি দেহ উদ্ধারের ঘটনা বিতর্ক আরও উসকে দিয়েছে।