Bombay High Court: মন্দির চত্বরেই চলছিল গাঁজার চাষ, পুরোহিতকে অবশ্য জামিন দিল হাইকোর্ট

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Nov 18, 2022 | 9:41 AM

Bombay High Court: মন্দির চত্বরে গাঁজার চাষ করা অভিযোগে পুনের শিরুর এলাকার এক মন্দিরের পুরোহিতকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। কিন্তু, বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ওই পুরোহিত শান্তারাম ধোবলকে জামিন দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট।

Bombay High Court: মন্দির চত্বরেই চলছিল গাঁজার চাষ, পুরোহিতকে অবশ্য জামিন দিল হাইকোর্ট
প্রতীকী ছবি

Follow Us

মুম্বই: মন্দির চত্বরেই চলছিল গাঁজার চাষ। আর তার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত মন্দিরের পুরোহিত। পুনের শিরুর এলাকার এক মন্দিরের পুরোহিতের বিরুদ্ধে এমনই গুরুতর অভিযোগ করেছিল পুলিশ। কিন্তু, বৃহস্পতিবার (১৭ নভেম্বর) ওই পুরোহিত শান্তারাম ধোবলকে জামিন দিয়েছে বম্বে হাইকোর্ট। মামলাটির শুনানি হয় বিচারপতি সন্দীপ শিন্ডের একক বিচারকের বেঞ্চে। বিচারপতি শিন্ডে জানান, পুলিশের চার্জশিটে ভুল রয়েছে। যে জায়গা থেকে গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছিল সেটি যে শান্তারাম ধোবলের একচেটিয়া দখলে ছিল, তার কোনও প্রমাণ পুলিশ দিতে পারেনি।

বিচারপতি সন্দীপ শিন্ডে বলেন, “যে মন্দির থেকে গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছিল, সেটা যে আবেদনকারীর (পুরোহিত) একচেটিয়া দখলে ছিল, প্রাথমিকভাবে অভিযোগপত্রে তা বলা হয়নি। অন্যভাবে বলতে গেলে, যে কোনও মন্দির প্রাঙ্গণই জনসাধারণ ব্যাপকভাবে ব্যবহার করতে পারে। কাজেই, এটা বলা যায় না যে, ওই মন্দির প্রাঙ্গণটি আবেদনকারীর একচেটিয়া দখলে এবং নিয়ন্ত্রণে ছিল।”

আদালতে পুলিশ জানিয়েছিল, অভিযুক্ত পুরোহিত শান্তারাম ধোবলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়েছিল। এছাড়া, মন্দির সংলগ্ন জমিতেও গাঁজার চাষ করা হত। পুলিশ সেখান থেকেও বেশ কিছু গাঁজা গাছ পেয়েছে। এই অভইযানের পরই শান্তারাম ধোবলকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

শান্তারাম ধোবলের আইনজীবী মিথিলেশ মিশ্র অবশ্য দুটি যুক্তিতেই বাজিমাত করেন। তিনি আদালতে জানান, উদ্ধার করা গাঁজার পরিমাণ ‘অ-বাণিজ্যিক’ ছিল। তাই ‘নারকোটিক ড্রাগস অ্যান্ড সাইকোট্রপিক সাবস্টেন্সেস’ বা এনডিপিএস আইনের ৩৭ নম্বর ধারা এই ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা যাবে না। প্রসঙ্গত, এনডিপিএস আইন অনুযায়ী ২০ কেজির কম গাঁজা বা উদ্ধার হলে, তাকে ‘অ-বাণিজ্যিক’ পরিমাণ হিসেবে ধরা হবে।

দ্বিতীয়ত, যে জমিতে গাঁজা চাষ করা হয়েছিল তা পুরো গ্রামের। ওই জমির উপর পুরোহিতের একচেটিয়া দখল ছিল না। কাজেই ওই জমিতে যে কেউই গাঁজা চাষ করে থাকতে পারে। শান্তারামের আইনজীবীর দুটি যুক্তিই গ্রাহ্য করেছে বম্বে হাইকোর্ট এবং তার জামিনও মঞ্জুর করা হয়।

Next Article