India China Disengagement: সরছে চিন সেনা, পিছিয়ে আসছে আমাদের জওয়ানরাও! সীমান্তে বড় অগ্রগতি

Oct 25, 2024 | 11:37 AM

India China Disengagement: পূর্ব লাদাখের ডেমচোক এবং ডেপসাং - ভারত-চিন সীমান্তে দুই পক্ষের অন্যতম সংঘর্ষের দুই জায়গা। শুক্রবার সকাল থেকে এই দুইকৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার কা শুরু করল ভারত ও চিন। পূর্ব লাদাখের ভারত-চিন সীমান্তবর্তী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিভিন্ন অংশে, গত চার বছরেরও বেশি সময় ধরে সামরিক অচলাবস্থা চলছিল।

India China Disengagement: সরছে চিন সেনা, পিছিয়ে আসছে আমাদের জওয়ানরাও! সীমান্তে বড় অগ্রগতি
সীমান্ত এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার করছে ভারত ও চিন
Image Credit source: Getty Images

Follow Us

নয়া দিল্লি: পূর্ব লাদাখের ডেমচোক এবং ডেপসাং – ভারত-চিন সীমান্তে দুই পক্ষের অন্যতম সংঘর্ষের দুই জায়গা। শুক্রবার সকাল থেকে এই দুইকৌশলগতভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার কা শুরু করল ভারত ও চিন। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে প্রতিরক্ষা কর্তারা জানিয়েছেন, পূর্ব লাদাখ সেক্টরের এই দুই এলাকা থেকে ভারত ও চিনের সেনাদের প্রত্যাহার করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। ঘূর্ণীঝড়ের ল্যান্ডফলের মতোই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে কিছুটা সময় লাগবে। দুই দেশের মধ্যে চুক্তি অনুসারে, শুক্রবার সকালেই এই দুই এলাকা থেকে অস্থায়ী সেনা ছাউনি সরিয়ে নিয়েছে চিন। ভারতীয় সেনাও সংশ্লিষ্ট এলাকার পিছনের অবস্থানে সামরিক সরঞ্জামগুলি ফিরিয়ে আনতে শুরু করেছে।

পূর্ব লাদাখের ভারত-চিন সীমান্তবর্তী প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর বিভিন্ন অংশে, গত চার বছরেরও বেশি সময় ধরে সামরিক অচলাবস্থা চলছিল। দুই পক্ষেরই সেনা ও সামরিক সরঞ্জাম রেখে দেওয়া হয়েছিল ওই সব এলাকায়। অবশেষে সেই অচলাবস্থার অবসান ঘটছে। গত সোমবারই ভারত সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর টহল দেওয়ার বিষয়ে চিনের সঙ্গে একটি চুক্তিতে পৌঁছন গিয়েছে। বেজিংয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে বরফ গলার ইঙ্গিত দেন চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র, লিন জিয়ান-ও। তিনি বলেন, “চিন-ভারত সীমান্ত সংক্রান্ত বিষয়ে, সাম্প্রতিক সময়ে কূটনৈতিক এবং সামরিক চ্যানেলের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে রয়েছে চিন ও ভারত।”

এরপর গত বুধবার, রাশিয়ায় কাজানে ব্রিকস সম্মেলনের সমান্তরালে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং চিনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং-এর মধ্যে। সেই বৈঠকে দুই রাষ্ট্রনেতাই পূর্ব লাদাখে প্রকৃ নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর টহলদারি এবং সেনা প্রত্যাহারের বিষয়ে ভারত-চিনের চুক্তিকে সমর্থন করেন। ২০২০ সালে, পূর্ব লাদাখের গালওয়ানে দুই পক্ষের সেনার মধ্যে রক্তক্ষয়ী হাতাহাতি হয়েছিল। সেই থেকে দুই দেশের সম্পর্ক প্রায় তলানিতে এসে ঠেকেছিল। এখন সেই সম্পর্ককে ফের স্বাভাবিক হওরার ইঙ্গিত মিলছে। বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক আলোচনা ফের শুরুর নির্দেশ দিয়েছেন জিনপিং ও মোদী।

দুই দেশের চুক্তি অনুযায়ী, ভারতীয় সেনা শুধু সংশ্লিষ্ট এলাকার পিছনে পিছিয়ে আসছে না, সংঘর্ষ শুরুর আগে যে সকল জায়গায় তারা টহল দিত, সেই সব এলাকায় ফের টহলদারিও শুরু হবে। ২০২০-র আগে, ওই এলাকার ৬৫টি পেট্রলিং পয়েন্টের মধ্যে ১১ টি জায়গা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। কাজানে মোদী-জিংপিং বৈঠকের আগে, ওই ১১টি বিতর্কিত পয়েন্ট থেকেই সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তে সম্মত হয়েছিল দুই দেশ।

Next Article