রাজগঢ়: প্রেমের কোনও সীমা নেই, নেই কোনও শেষ। প্রেমের টানে মানুষ সব কিছুই করতে পারে, এমন অসংখ্য উদাহরণ আমাদের আশেপাশে রয়েছে। অনেকে আবার প্রেমে প্রতারিত হয়ে চরম সিদ্ধান্তের রাস্তা বেছে নেন। কিন্তু মধ্য প্রদেশে এমন এক ঘটনা ঘটেছে, যা সচরাচর শোনা যায় না। সেরাজ্যের রাজগঢ়ে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে পরস্পরের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার পর তাঁরা জানতে পারে আসলে তারা দূর সম্পর্কের ভাই-বোন। প্রেমের সম্পর্ক জড়িয়ে পড়ার আগে পারিবারিক সম্পর্কের কথা তাদের দুজনেরই অজানা ছিল। দু’জনেই দুটি আলাদা আলাদা গ্রামের বাসিন্দা। ৫ মাস আগে একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে তাদের প্রথম আলাপ হয়। সেখানে দু’জনের মধ্যে মোবাইল নম্বর বিনিময় হয়েছিল। মোবাইল নম্বর বিনিময়ের পর তাদের মধ্য কথাবার্তা শুরু হয়, এবং বেশ কিছুদিন ধরে নিয়মতি কথা বলার পর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল। যতদিন গিয়েছে, সম্পর্ক আরও গভীয় হয়েছিল। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ১৮ বছর বয়সী ওই তরুণ রসুলপুরা গ্রামের বাসিন্দা এবং ওই মেয়েটি রোশিয়া গ্রামের বাসিন্দা। দু’জনে মিলে দেখা করা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
রবিবার মেয়েটির সঙ্গে দেখা করতে রোশিয়া গ্রামের একটি গ্রামের মন্দিরে গিয়েছিলেন ওই যুবক। মেয়েটির পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হওয়ার কারণে তারা মেয়েটিকে অনুসরণ করে। মন্দিরে পৌছে ছেলেটির সঙ্গে মেয়েটিকে দেখতে পেয়ে পরিবারের লোকেরা চরম ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। ওই তরুণ ও তাঁর এক বন্ধুকে ধরে গাছের সঙ্গে বেঁধে চলে দেদার মারধর। তখনই তাদের পারিবারিক সম্পর্কের কথা জানা যায়। ৬ ঘণ্টা ধরে ওই ছেলে ও তাঁর বন্ধুকে মারধর করা হয়। মেয়েটিকে ছেলেটি বাঁচানোর চেষ্টা করে এমনকী বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে এখনও মেয়েটির চিকিৎসা চলছে। এই ঘটনায় থানায় মামলা রুজু হয়েছে। থানার এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “গ্রামবাসীদের হাত থেকে আমরা ওই দুই যুবককে উদ্ধার করেছি। এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং তদন্ত চলছে।”