নয়া দিল্লি: রাজকীয় কোনও খাবার নয়, পেটের জ্বালা মেটানোও দায় হয়ে উঠেছে মধ্যবিত্তের। মূল্যবৃদ্ধির জেরে সংসার সামাল দিতে হাসফাঁস করছেন সাধারণ মানুষ। গোঁদের উপরে বিষফোড়ার মতো এবার বাড়ছে নিত্যদিন ব্যবহৃত খাদ্যপণ্যের দাম। আগামী মাস থেকেই দাম বাড়তে চলেছে পাউরুটি, বিস্কুট ও রুটি। নেপথ্যে আটার দাম বৃদ্ধি (Flour Price Rise)। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জেরে আহেই বেড়েছে ভোজ্য তেলের (Edible Oil) দাম। এবার দাম বাড়তে শুরু করেছে আটারও। চলতি বছরের জন্য দেশের খোলা বাজারে আটার দাম এখনও ধার্য করা হয়নি বলে এই সমস্যা দেখা দিয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, ওপেন মার্কেট সেলস স্কিমের (Open Market Sales Scheme) অধীনে ফুড কর্পোরেশন অব ইন্ডিয়া গম বিক্রি করে এবং সময় ও চাহিদা অনুযায়ী গমের দামও বৃদ্ধি করা হয়।
শনিবারের তথ্য অনুযায়ী, ভারতে গম থেকে তৈরি আটার দাম সর্বাধিক বেড়ে ৩২ টাকা ৭৮ পয়সায় পৌঁছেছে। গত বছরের তুলনায় এই দাম ৯.১৫ শতাংশ বেশি। মেট্রো শহরগুলিতে যেমন মুম্বইয়ে আটা ৪৯ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। চেন্নাইতে ৩৪ টাকা প্রতি কেজি, কলকাতায় ২৯ টাকা কেজি ও দিল্লিতে ২৭ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি হচ্ছে।
২০২১-২২ সালে সরকার থেকে ৭০ লক্ষ টন খাদ্যশস্য কিনেছে। এই বছরে যদি সরকার ওএমএসএস নীতি নিয়ে কোনও ঘোষণা না করে, তবে খাদ্যশস্যের ১০০ শতাংশই খোলা বাজার থেকে কিনতে হবে।
এদিকে, ইন্দোনেশিয়া পাম তেলের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করার পর থেকে সাবান, শ্যাম্পু, বিস্কুট ও নুডলসের দাম বাড়তে শুরু করেছে। উল্লেখ্য, চকোলেট থেকে শুরু করে আইসক্রিম, সাবান-শ্যাম্পু একাধিক পণ্য তৈরিতেই পাম তেল ব্যবহার করা হয়। বিদেশ থেকে পাম তেলের আমদানি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভারতীয় বাজারে ক্রমশ তেলের দাম বাড়ছে। ফলে বাকি পণ্যের দামও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে।
ভারতই বিশ্বের বৃহত্তম তেল আমদানিকারক। পাম তেল ও সোয়াবিন তেল আমদানি করা হয় বিদেশ থেকে। প্রতি বছরে প্রায় ১.৩৫ কোটি টনেরও বেশি ভোজ্য তেল আমদানি করা হয়। এরমধ্যে ৮০ থেকে ৮৫ লক্ষ টন (৬৩ শতাংশ) তেলই পাম তেল। আমদানি করা তেলের মধ্যে ৪৫ শতাংশ ইন্দোনেশিয়া থেকে আসে।
আটা ও ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে ইতিমধ্যেই ডোমিনোজের মতো পিৎজার দোকান, বার, রেস্তরাঁগুলিতে খাবারের দাম ১৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।