Bridge Construction: ‘কানে শোনে না’ সরকার, চাঁদা তুলে নিজেরাই সেতু বানাচ্ছেন এই দুই গ্রামের বাসিন্দারা

ঈপ্সা চ্যাটার্জী |

Mar 27, 2025 | 6:53 AM

Crowdfunding: দীর্ঘদিন ধরেই একটি পাকা ব্রিজের আবেদন করলেও, সেই আবেদন সরকারের কানে পৌঁছয়নি। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় তিতিবিরক্ত হয়েই গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নেন, তারা নিজেরাই ব্রিজ তৈরি করবেন।

Bridge Construction: কানে শোনে না সরকার, চাঁদা তুলে নিজেরাই সেতু বানাচ্ছেন এই দুই গ্রামের বাসিন্দারা
বাঁশের সাঁকোর বদলে তৈরি হবে সেতু।
Image Credit source: X

Follow Us

লখনউ: অনুরোধ করে করে মুখ ব্যথা হয়ে গিয়েছে, কিন্তু সরকারের কানে সেই অনুরোধ পৌঁছয়ই না। গ্রামে প্রয়োজন একটা সেতুর। বাঁশের সাঁকো দিয়ে আর কতদিনই বা চলাচল করা যায়। বছরের পর বছর যন্ত্রণা সয়ে, প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেও যখন ব্রিজ পেলেন না গ্রামবাসীরা, তখন নিজেরাই বড় সিদ্ধান্ত নিলেন। সরকারের অপেক্ষায় না থেকে, নিজেরাই চাঁদা তুলে তৈরি করতে শুরু করলেন পাকা ব্রিজ।

উত্তর প্রদেশের গাজিপুরের কায়মপুর ও সোনা-দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মনে দীর্ঘদিন ধরেই ক্ষোভ-আক্ষেপ ছিল না যে মঙ্গাই নদীর উপরে কোনও পাকা সেতু নেই। গ্রামবাসীদের বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচল করতে হয়। বর্ষা এলে, অনেক সময় ভেঙে পড়ে সাঁকো, বাড়ে বিপদ।

দীর্ঘদিন ধরেই একটি পাকা ব্রিজের আবেদন করলেও, সেই আবেদন সরকারের কানে পৌঁছয়নি। প্রশাসনের নিষ্ক্রিয়তায় তিতিবিরক্ত হয়েই গ্রামবাসীরা সিদ্ধান্ত নেন, তারা নিজেরাই ব্রিজ তৈরি করবেন। যেমন ভাবা, তেমন কাজ। গ্রামে শুরু হল চাঁদা তোলা। আর সেই চাঁদা দিয়েই ব্রিজ তৈরি শুরু হল।

গত বছর, ২০২৪ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি এই ব্রিজের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করা হয়। এলাহাবাদ হাইকোর্টের বিচারপতি শেখর কুমার যাদব ভিত স্থাপন করেন। এক অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার সেতুর নির্মাণ কাজের তদারকির দায়িত্ব নেন।

এদিকে, ভিডিয়ো ভাইরাল হয়ে যেতেই টনক নড়ে প্রশাসনের। জেলা প্রশাসনের তরফে নির্মীয়মাণ ব্রিজের সুরক্ষা ও গুণমান পরীক্ষা করা হয়।

Next Article