নয়া দিল্লি: গত তিন দশক ধরে ঝাড়খণ্ডের বুঢ়া পাহাড় ছিল নকশালদের শক্ত ঘাঁটি। আর সেখানেই বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তা বাহিনী। বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর), সিআরপিএফ-এর ডিজি কুলদীপ সিং এক সাংবাদিক সম্মেলন করে জানালেন, বুঢ়া পাহাড় এখন নকশাল-মুক্ত। সেখানে এখন উড়ছে তেরঙ্গা জাতীয় পতাকা, স্থাপন করা হয়েছে স্থায়ী সেনা ঘাঁটি। সিআরপিএফ-এর ডিজি আরও দাবি করেছেন, গোটা দেশেই বাম চরমপন্থী ঘটনার সংখ্যা কমছে।
সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের ডিজি কুলদীপ সিং আরও জানিয়েছেন, ওই এলাকায় নকশালদের উপস্থিতি শেষ বুঢ়া পাহাড় এলাকায় করতে হেলিকপ্টারের সাহায্যে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নামানো হয়েছিল। তার আগে তিনটি সামরিক অভিযানের মাধ্যমে এলাকাটিকে নকশাল মুক্ত করা হয়।
কুলদীপ সিং বলেন, “অতীতে বুঢ়া পাহাড়ে বেশ কয়েকটি অভিযান ব্যর্থ হয়েছিল। তবে ২০২২ সালের এপ্রিল থেকে ঝাড়খণ্ডে আমরা বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করেছি। আর তাতেই আমরা বুঢ়া পাহাড় এলাকাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি।” এপ্রিল থেকে পরপর অপারেশন অক্টোপাস, অপারেশন বুলবুল এবং অপারেশন থান্ডারস্টর্মের মাধ্যমে এলাকাটিকে নকশাল মুক্ত করা হয়। শেষের অভিযানটি এখনও চলছে। এই তিন অভিযানের পরই হেলিকপ্টারে করে সেনা নামিয়ে বুঢ়া পাহাড়ে স্থায়ী সেনা ঘাঁটি স্থাপন করা হয়।
Buddha Pahad in Jharkhand which was Naxal dominated area has been freed. Forces were sent there with the help of a heliocpter. A permanent camp has been set up there for the forces. This has been done under three different operations: Kuldiep Singh, DG, CRPF pic.twitter.com/vP7HckA1MY
— ANI (@ANI) September 21, 2022
তিনি আরও জানিয়েছেন, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মধ্য প্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ে এখনও নকশাল বিরোধী অভিযান চালানো হচ্ছে। কুলদীপ সিং দাবি করেছেন, ‘অপারেশন থান্ডারস্টর্ম’ নকশালদের পিঠ ভেঙে দিয়েছে। এই অপারেশনের অধীনে, নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ঝাড়খণ্ড, ছত্তীসগঢ় এবং মধ্যপ্রদেশে মোট ১৪ জন নকশালপন্থী নিহত হয়েছে। তিনি আরও জানান একই সময়ে ৫৭৮ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছে।
সব মিলিয়ে বাম চরমপন্থী ঘটনার সংখ্যা ৭৭ শতাংশ কমে গিয়েছে। ২০০৯ সালে ২,২৫৮টি নকশালপন্থীদের হামলা হয়েছিল। এই সংখ্যা এখন ৫০৯-এ নেমে এসেছে। তিনি জানিয়েছেন, শুধু নকশালপন্থী হামলার ঘটনাই কমেনি, নকশালদের হামলায় মৃত্যুর সংখ্যাও ৮৫ শতাংশ কমে গিয়েছে। সিআরপিএফের ডিজির মতে, ঝাড়খণ্ড এবং বিহারে এখন এমন কোনও জায়গা নেই যেখানে নিরাপত্তা বাহিনীর প্রবেশ করতে পারে না।