Palghar: কবর দেওয়ার দু’দিন পর বন্ধুর সঙ্গে ভিডিয়ো কল ‘মৃত’ ব্যক্তির, মহাফাঁপরে পুলিশ

TV9 Bangla Digital | Edited By: অমর্ত্য লাহিড়ী

Feb 07, 2023 | 12:23 AM

Buried person found alive in Palghar: মৃত ব্যক্তিকে কবর দেওয়ার দুদিন পর, সেই ব্যক্তির সঙ্গেই ভিডিয়ো চ্যাট? এও কি সম্ভব? চূড়ান্ত অবিশ্বাস্য হলেও, এমনটাই ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলায়।

Palghar: কবর দেওয়ার দুদিন পর বন্ধুর সঙ্গে ভিডিয়ো কল মৃত ব্যক্তির, মহাফাঁপরে পুলিশ
প্রতীকী ছবি

Follow Us

মুম্বই: মৃত ব্যক্তিকে কবর দেওয়ার দুই দিন পর, সেই ব্যক্তির সঙ্গেই ভিডিয়ো চ্যাট? তাও কি সম্ভব? চূড়ান্ত অবিশ্বাস্য হলেও, এমনটাই ঘটেছে মহারাষ্ট্রের পালঘর জেলায়। দিন দুয়েক আগেই কবর দেওয়া হয়েছিল অটোরিকশা চালক রফিক শেখকে। শোকে ভেঙে পড়েছিল তাঁর পরিবার। কিন্তু, শোকের আবহাওয়া বদলে যায় গত রবিবার (৫ ফেব্রুয়ারি)। ‘মৃত’ রফিক শেখের এক বন্ধু ভুল করে তাঁর ফোন নম্বরে ভিডিয়ো কল করে বসেছিলেন। আর তারপরই ঘটেছিল সেই অবিশ্বাস্য ঘটনা। ফোনের ওই প্রান্ত থেকে সাড়া দিয়েছিলেন ‘মৃত’ রফিক শেখ। ভুল করে করা এক ফোনের জেরেই ধরা পড়ল এক বিরাট ভুল। যা এখন মহা ফাঁপরে ফেলে দিয়েছে পুলিশ বিভাগকে।

এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল মাস দুই আগে। পারিবারিক সমস্যার জেরে বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন ৬০ বছরের রফিক শেখ। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পরিবারের লোকজন তাঁকে খুঁজে পায়নি। অবশেষে স্থানীয় থানায় নিখোঁজ ব্য়ক্তির অভিযোগ দায়ের করেছিল। এরপর, গত ২৯ জানুয়ারি, বোইসার এবং পালঘর স্টেশনের মধ্যে এক জায়গায় ট্রেনের ধাক্কায় একজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল। জিআরপি-র পক্ষ থেকে মৃত ব্যক্তির ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। সেই ছবি দেখে পালঘর জিআরপির কাছে এসেছিল রফিক শেখের ভাই। তিনি দাবি করেছিলেন মৃত ব্যক্তি তাঁর দাদা।

এরপর, পালঘর জিআরপি রপিকের স্ত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। রফিক নিখোঁজ হয়ে যাওয়ার পর তিনি কেরলে বাপের বাড়িতে চলে গিয়েছিলেন। সেখান থেকে পালঘরে এসে মৃতদেহটি তাঁর স্বামী বলে শনাক্ত করেছিলেন তিনি। তারপরই, দেহটি রফিকের পরিবারকে হস্তান্তর করা হয়েছিল। গত সপ্তাহে, ‘রফিক শেখের মৃতদেহ’ সমাধিস্থ করা হয়। এরপরই অবশ্য এই কাহিনিতে মোচড় এসেছে। গত রবিবার ভিডিয়ো চ্যাটে খোজ রফিক শেখ তাঁর বন্ধুকে জানিয়েছেন যে, তিনি শুধু বেঁচেই নেই, সুস্থ আছেন এবং ভাল আছেন। বন্ধুটি সঙ্গে সঙ্গে রফিকের পরিবারকে এই ঘটনাটি জানান। তারা রফিক শেখের সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং পুলিশকেও বিষয়টি জানায়।

কোথায় ছিলেন রফিক শেখ? জানা গিয়েছে, বাড়ি থেকে বেশি দূরে যাননি রফিক শেখ। পালঘর জেলার সাফাল এলাকায় এক অনাথ আশ্রমে কাজ নিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই থাকতেন। পরিবারের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করার পর তিনি বাড়ি ফিরে এসেছেন। আসলে মৃত ব্যক্তির চেহারার সঙ্গে রফিক শেখের অদ্ভুত মিল রয়েছে। সেই কারণে মৃতদেহটি শনাক্ত করতে গিয়ে বুল করেছিলেন রফিকের পরিবার, এমনকি স্ত্রীও। তবে, এই ঘটনায় পুলিশের কপালের ভাঁজ বাড়িয়ে দিয়েছে। মৃতদেহটি রফিক শেখের নয়, সেই বিষয়ে তারা নিশ্চিত। প্রশ্ন হল, তাহলে রফিক শেখ হিসেবে কাকে কবর দেওয়া হল? মৃতদেহটি আসলে কার?

Next Article