মুম্বই: কোনও মহিলাকে “আইটেম” বলা এবং তাঁর চুল টানা তাঁর শালীনতা লঙ্ঘনের সমতুল্য এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৫৪ ধারার অধীনে শাস্তিযোগ্য। এইপর্যবেক্ষণ করে মুম্বইয়ের এক ২৫ বছর বয়সী ব্যবসায়ীকে যৌন হেনস্থার অভিযোগে দেড় বছরের কারাদণ্ডের সাজা দিয়েছে মুম্বইয়ের এক বিশেষ আদালত। বিচারক এস জে আনসারি পর্যবেক্ষণ করেছেন, “আইটেম শব্দটি সাধারণত ছেলেরা, মেয়েদের অবমাননাকরভাবে সম্বোধন করার জন্য ব্যবহার করে।”
অপরাধী আইনের অধীনে ভাল আচরণের জন্য মুক্তির আবেদন জানিয়েছিল ওই ২৫ বছর বয়সী ব্যবসায়ী। কিন্তু, সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন বিচারক। তিনি বলেছেন, “এই ধরনের অপরাধগুলিকে কঠোর হাতে মোকাবিলা করা দরকার। এই ধরনের রোড সাইড রোমিয়োদের শিক্ষা দেওয়া দরকার। যাতে মহিলাদের এই ধরনের আচরণ থেকে রক্ষা করা যায়। তাদের সুবিধা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।”
নির্যাতিতার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার মাত্র এক মাস আগেই তিনি মুম্বইয়ের সাকিনাকা এলাকায় এসেছিলেন। তারপর থেকেই অভিযুক্ত এবং তার বন্ধুরা তাঁকে নিয়মিত হয়রানি করা শুরু করেছিল। সে ক্রমাগত তাঁকে অনুসরণ করত এবং তাঁকে “আইটেম” বলে সম্বোধন করত। তবে, ২০১৫ সালের ১৪ জুলাই, স্কুল থেকে ফেরার সময় অভিযুক্ত তার চুল টেনে ধরে এবং তাকে জিজ্ঞেস করেছিল, “কেয়া আইটেম কিধার জা রাহি হো? অ্যায় আইটেম সুন না” (কী আইটেম কোথায় যাচ্ছ? এই আইটেম শোনো না)। এরপর সে পুলিশ হেল্পলাইন নম্বরে ফোন করতে বাধ্য হয়েছিল।
অন্যদিকে, অভিযুক্তের পক্ষের আইনজীবী বলেছেন, তাকে মিথ্যাভাবে ফাঁসানো হয়েছে। তাদের দাবি, অভিযুক্ত এবং নির্যাতিতা পরস্পরের বন্ধু ছিল। অভিযুক্তের বাবা-মা তাদের সম্পর্ক নিয়ে আপত্তি জানানোয়, তার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। কিন্তু, আদালত অভিযুক্তের সঙ্গে একমত হয়নি। আদালত জানিয়েছে, নির্যাতিতা এবং অভিযুক্তরা একে অপরকে চিনত না। অভিযুক্ত সম্পূর্ণ অনুপযুক্ত আচরণ করেছে। নির্যাতিতার চুল টেনে ধরা এবং তাকে “আইটেম” বলে অভিহিত করা অবশ্যই তাঁর শালীনতা লঙ্ঘন করার সমান।