Raghuram Rajan: পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মতো ভারতীর অর্থনীতিও কি মহা বিপদের মুখে? প্রাক্তন আরবিআই গভর্নর বললেন…

TV9 Bangla Digital | Edited By: অরিজিৎ দে

Aug 01, 2022 | 6:31 PM

Reserve Bank of India: রাজন জানিয়েছেন, ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কখনই শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানের মতো হবে না। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, দেশে পর্যাপ্ত বিদেশী মুদ্রার জোগান রয়েছে এবং দেশের ঋণের পরিমাণও অনেকেটাই কম।

Raghuram Rajan: পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কার মতো ভারতীর অর্থনীতিও কি মহা বিপদের মুখে? প্রাক্তন আরবিআই গভর্নর বললেন...
ছবি: ফাইল চিত্র

Follow Us

নয়া দিল্লি: করোনা অতিমারির সময় ভারত সহ গোটা বিশ্বের বিভিন্ন ধনী দেশও সংকটের মুখে পড়েছিল। কোভিড ১৯ এর সময় থেকেই দেশের অর্থনীতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন অনেক অর্থনীতিবিদ। সম্প্রতি শ্রীলঙ্কার চরম অর্থনৈতিক সংকট, পাকিস্তানের অর্থনীতিতে ধাক্কা সংবাদ শিরোনামে জায়গা করে নিয়েছিল। প্রতিবেশী ভারতের অনেকেই মনে করছেন, দেশেও কী অর্থনৈতিক সংকট আসন্ন? দেশের বিরোধী রাজনৈতিক দলের অনেকেই ইতিমধ্যের অর্থনিীতির অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। তাদের অনেকের মতে ভারতের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। এমন অবস্থার মুখে কি সত্যিই পড়তে পারে ভারত? খ্যাতনামা অর্থনীতিবিদ তথা রিজার্ভ ব্যাঙ্কের প্রাক্তন গভর্নর রঘুরাম রাজন এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন।

রাজন জানিয়েছেন, ভারতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি কখনই শ্রীলঙ্কা বা পাকিস্তানের মতো হবে না। কারণ হিসেবে তিনি জানিয়েছেন, দেশে পর্যাপ্ত বিদেশী মুদ্রার জোগান রয়েছে এবং দেশের ঋণের পরিমাণও অনেকেটাই কম। প্রাক্তন আরবিআইয়ের শীর্ষকর্তা মনে করেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ভালো কাজ করছে। সংবাদ সংস্থা এএনআইকে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে যথেষ্ট বিদেশী মুদ্রার জোগান রয়েছে। জোগান বৃদ্ধিতে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ভাল কাজ করেছে। সেই কারণে আমাদের শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মতো সমস্যা হচ্ছে না। এমনকী আমাদের ঋণের পরিমাণও অনেকটাই কম।”

কেন শ্রীলঙ্কার ও পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের তুলনা চলে না?

শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তান, উভয় ক্ষেত্রেই বিদেশী মুদ্রার ঘাটতি এবং বৈদেশির ঋণের পরিমাণ কম থাকার কারণে অর্থনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছিল। ভারতে সেই তুলনায় অনেক বেশি সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে। আরবিআইয়ের ২২ জুলাইয়ের পরিসংখ্যান জানিয়েছে, ভারতের কাছে থাকা বিদেশী মুদ্রার পরিমাণ ৫৭ হাজার ১৫৬ কোটি মার্কিন ডলার। ২০২২ সালের মার্চ মাসে বৈদেশিক ঋণের পরিমাণ ছিল ৬২ হাজার ৭০ কোটি মার্কিন ডলার। সেখানে শ্রীলঙ্কার বিদেশী মুদ্রার পরিমাণ ৫ কোটি মার্কিন ডলার নিচে চলে গিয়েছিল। পাকিস্তানের বিদেশি মুদ্রার পরিমাণ ৮৫৭ কোটি মার্কিন ডলার।

Next Article