ভারতে ফেরার পথ কি আটকাতে পারেন নীরব মোদী?

তন্নিষ্ঠা ভাণ্ডারী | Edited By: tista roychowdhury

Feb 25, 2021 | 9:26 PM

মানবাধিকারের শর্ত মেনেই নীরব মোদীকে (Nirav Modi) ভারতে প্রত্যার্পণ করা হচ্ছে, সাফ জানিয়েছে আদালত। কিন্তু বিজয় মালিয়ার পথে হাঁটলে তাঁর ভারতে ফেরার রাস্তা এখনও অনেক দূর। কী বলছেন আইনজীবীরা?

ভারতে ফেরার পথ কি আটকাতে পারেন নীরব মোদী?
নীরব মোদী কি বিজয় মালিয়ার পথে হাঁটতে পারেন?

Follow Us

নয়া দিল্লি: মানসিক অবস্থা ভাল নয় নীরব মোদীর (Nirav Modi)। আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছেন। এমনটাই দাবি করা হয়েছিল কোটি কোটি টাকার আর্থিক তছরূপে অভিযক্ত ভারতীয় ব্যবসায়ীর তরফে। কিন্তু কোনোটাই ধোপে টেকেনি। তাঁকে ভারতে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন ব্রিটিশ আদালতের বিচারপতি। প্রত্যর্পণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল বিজয় মালিয়াকেও (Vijay Mallya)। কিন্তু এখনও দেশে ফেরেননি তিনি। নীরব মোদী কি ফিরবেন? প্রশ্ন উঠছে এমনটাই।

বৃহস্পতিবার লন্ডনের ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে বিচারপতি স্যামুয়েল গুজি যে রায় দিয়েছেন, সেই রায় অনুসারে ভারতে ফিরিয়ে আনা যেতে পারে নীরব মোদীকে। ওয়ান্ডস ওয়ার্থ জেল থেকে ভিডিও লিংকে এদিন আদালতে ভার্চুয়ালি হাজির ছিলেন নীরব মোদী। আর সেই শুনানিতে আদালত সাফ জানিয়েছে যে, তাঁকে দোষী সাব্যস্ত করার জন্য যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে তাঁদের হাতে। কিন্তু ভারতে ফেরা আটকাতে নীরব মোদীর কাছে কোন কোন পথ খোলা আছে?

বিজয় মালিয়া যে পথে হেঁটেছেন সেই পথে হাঁটলে নীরব মোদীরও ভারতে ফিরতে সময় লেগে যেতে পারে বহু দিন। তবে নীরব মোদী কোথায়, কোন আবেদন করবেন সেটার উপরই সবটা নির্ভর করছে। আপাতত এই ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের রায়ের পর মামলা যাবে ইউকে-র স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রীতি পটেলের কাছে। এরপর চাইলে নীরব মোদী হাই কোর্টে আবেদন জানাতে পারেন।

এই বিষয়ে বর্ষীয়ান আইনজীবী তথা প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল জয়ন্ত মিত্র জানিয়েছেন, এ ক্ষেত্রে রিভিউ করাতে পারেন অভিযুক্ত। অর্থাৎ রায়টা ঠিক কিনা, তা পুনরায় বিবেচনা করার আরই জানাতে পারেন। তবে আদালত যদি সেই আবেদন খারিজ করে দেয় তাহলে ভারতে ফেরা ছাড়া আর কোনও রাস্তা নেই তাঁর কাছে। তিনি আরও বলেন, সব প্রক্রিয়ারই একটা শেষ হল। উচ্চতরে আদালতে অর্ডার হলে সেটাই হবে শেষ কথা তারপর আর কোনও রাস্তা নেই।’ তবে বিজয় মালিয়া অ্যাপিল করে প্রত্যর্পণের প্রক্রিয়া আটকে দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন তিনি। এ ক্ষেত্রেও নীরব মোদী সেই একই রাস্তা বেছে নিতে পারেন।

উচ্চতরে আদালতে আবেদন জানানোর ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে কেউ অ্যাসাইলাম বা আশ্রয়ের জন্য আবেদন করতে পারেন। তেমনটাই করেছেন বিজয় মালিয়া। আসলে ইউকে-র প্রত্যর্পণ আইন অনুযায়ী, কাউকে প্রত্যর্পণের নির্দেশ দেওয়ার ২৮ দিনের মধ্যে তাঁকে সংশ্লিষ্ট দেশে ফিরিয়ে দিতে হয়। কিন্তু অ্যাসাইলামের আবেদন করলে সে ক্ষেত্রে ওই প্রক্রিয়া আটকে যায়। অ্যাসাইলামের আবেদন করার অর্থ হল কেউ রিফিউজি বা শরণার্থী হিসেবে থেকে যেতে চান। সেরকম আবেদন জানানো হলে ওই প্রক্রিয়া শেষ না হওয়া পর্যন্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে প্রত্যর্পণ করা যায় না।

আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: মুকেশ অম্বানীর বাড়ির সামনে বিস্ফোরক বোঝাই গাড়ি

ভারতে জেলগুলিতে থাকতে কষ্ট হবে এমন দাবি তুলেছিল বিজয় মালিয়ার পক্ষ। একই দাবি রয়েছে নীরব মোদীরও। যদিও ভারতীয় ব্যবসায়ীর এই দাবি খারজ হয়ে গিয়েছে। মানবাধিকারের কোনও শর্ত লঙ্ঘন হচ্ছে না বলে বৃহস্পতিবার সাফ জানিয়েছে ব্রিটিশ আদালত।

Next Article