নয়া দিল্লি: জি-২০ সামিট (G-20 Summit) শেষ হওয়ার পর ২৪ ঘণ্টা কেটে গিয়েছে। কিন্তু, এখনও নিজের দেশে ফিরতে পারছেন না কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তাঁর বিশেষ বিমানের যান্ত্রিক গোলযোগ এখনও ঠিক হয়নি। ফলে ভারতেই রয়ে গিয়েছেন ট্রুডো। তবে ওই বিমানের গোলযোগ ঠিক না হলে অন্য বিমানে যাওয়ার পরিকল্পনা করছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী (Justin Trudeau)।
কানাডার প্রধানমন্ত্রীর অফিসের তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, কানাডার সশস্ত্র বাহিনী দেশের প্রতিনিধিদের ফিরিয়ে আনার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। সবকিছু পরিকল্পনা মাফিক চললে মঙ্গলবার বিকালেই তাঁরা দিল্লি থেকে বিমানে রওনা দিতে পারেন।
ট্রুডোর অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, জাস্টিন ট্রুডোর বিশেষ বিমানের গোলযোগ সারানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। গোলযোগ সারানো সম্ভব হলে এদিন বিকালে সেই বিমানেই দিল্লি থেকে কানাডার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন ট্রুডো। নয়তো তাঁকে উড়িয়ে আনতে কানাডা থেকে অন্য বিশেষ বিমানে দিল্লিতে যাবে।
জি-২০ সামিটে যোগ দিতে গত শুক্রবার নয়া দিল্লি এসে পৌঁছন জাস্টিন ট্রুডো। এয়ারবাস A310-এ করেই ট্রুডো-সহ কানাডার অন্যান্য আধিকারিকেরা দিল্লি আসেন। তারপর সামিট শেষে রবিবার রাতে ফেরার পথেই বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। বরাতজোরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য আধিকারিকেরা বিমানে ওঠার আগেই গোলযোগ ধরা পড়ে। তবে তখন ট্রুডো বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলেন। বিমানে গোলযোগের খবর পেয়ে মাঝপথ থেকে তিনি হোটেলে ফিরে আসেন। তারপর সোমবার তাঁর ফেরার কথা থাকলেও বিমানের সমস্যার সমাধান হয়নি। ফলে সোমবার রাতও দিল্লিতেই কাটালেন জাস্টিন ট্রুডো।
প্রসঙ্গত, জি-২০ সামিটের মাঝে কানাডার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বর্তমানে কানাডায় ভারত-বিরোধী খলিস্তানি-পন্থীর কার্যকলাপ বেড়েছে। সেই বিষয়টি ট্রুডোর কাছে তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৈঠকের পর অবশ্য সাংবাদিক বৈঠকে ভারত সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী। জলবায়ুর পরিবর্তন ও নাগরিকদের অগ্রগতিতে ভারত ‘কানাডার গুরুত্বপূর্ণ সঙ্গী’ বলেও উল্লেখ করেছেন ট্রুডো।