নয়া দিল্লি : রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে এফআইআর (FIR) দায়ের করতে সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু শীর্ষ আদালত হাইকোর্টে যাওয়ার কথা বলল রাজ্যকে। আসানসোলে কম্বল বিতরণের সময় তিনজনের মৃত্যুর ঘটনায় শুভেন্দুকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করাচ্ছে রাজ্য সরকার। কিন্তু কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ অনুসারে, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করা যাবে না। সে কারণেই বৃহস্পতিবার রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চে এদিন রাজ্য সরকারের হয়ে আর্জি জানান আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি।
আর্জি শুনে রাজ্য সরকারকে হাইকোর্টে যাওয়ার কথা বলা হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে। হাইকোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা সম্প্রতি নির্দেশ দেন, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে নতুন করে কোনও এফআইআর করা যাবে না। এফআইআর করতে গেলে আদালতের অনুমতি নিতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। একই সঙ্গে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা সব এফআইআর তুলে নেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। আগেই শুভেন্দুকে রক্ষাকবচও দেওয়া হয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে ভুল ব্যাখ্যা বন্ধ করুন। সুপ্রিম কোর্ট বলেছে হাই কোর্টকে বিষয়টা জানাতে। নিম্ন আদালতের নির্দেশে থানায় গিয়ে অভিযোগ করার কথা বলা হয়েছে।’ তাঁর দাবি, এর মানে এফআইআর করা যাবে না, তা নয়।
উল্লেখ্য, বুধবার আসানসোলে শিবচর্চা অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বক্তব্য শেষ করে চলে যাওয়ার পর শুরু হয় কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান। আর তাতেই বিশৃঙ্খলার পরিস্থিতি তৈরি হয় বলে অভিযোগ। তাতেই পদপিষ্ট হয়ে তিন জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। মৃতদের মধ্যে রয়েছেন দুই মহিলা ও এক কিশোরী।
ওই ঘটনার পর শুভেন্দু দাবি করেছেন, তিনি চলে আসার পরই পুলিশি নিরাপত্তা সরিয়ে নেওয়া হয়েছিল, এমনকী সিভিক ভলান্টিয়ারদেরও সেখান থেকে চলে যেতে বলেছিলেন ঊর্ধ্বতন আধিকারিকরা। তিনি চলে যাওয়ার এক ঘণ্টা পর ওই ঘটনা ঘটেছিল বলে জানিয়েছেন তিনি। এদিকে এই ইস্যুতে শুভেন্দুকে তোপ দাগছে শাসক দল। তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তুলেছেন, অনুষ্ঠানে জন্য প্রয়োজনীয় পুলিশি অনুমতি থাকার বিষয়েও।