কলকাতা: গরু পাচারকাণ্ডের তদন্তে তেড়েফুঁড়ে ইডি। মলয় পিটকে বুধবারই দিল্লির ইডি-র দফতরে তলব করা হয়েছে। ইডি-র কাছে তথ্য রয়েছে, অনুব্রত মণ্ডলের টাকা বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে বিনিয়োগ হয়েছে। সেই টাকা আদৌ গরু পাচারেরই টাকা কিনা, খতিয়ে দেখতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
চলতি মাসের ২ নভেম্বর কলকাতার সিবিআই অফিসে হাজিরা দিয়েছিলেন মলয় পিট। মলয় পিট নামে ওই ব্যবসায়ী শান্তিনিকেতনে একটি মেডিক্যাল কলেজ তৈরি করেছিলেন। ‘স্বাধীন ট্রাস্ট’ ও ‘সতীর্থ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট’ নামে দুটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও চালান তিনি। এই দুই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার অধীনে বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেছেন বলে তদন্তকারীদের হাতে তথ্য উঠে আসে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা যাচ্ছে, শান্তিনিকেতনে ওই মেডিক্যাল কলেজটি তৈরি করার জন্য অনুব্রত মণ্ডল আর্থিক সাহায্যও করেছিলেন।
শান্তিনিকেতন মেডিক্যাল কলেজ, শান্তিনিকেতন ইনস্টিটিউট অব পলিটেকনিক্যাল কলেজ নামে মলয় পিটের একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিষয়েও খোঁজ খবর করেন তদন্তকারীরা। মলয় পিটকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও নথি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন ইডি আধিকারিকরা।
এদিকে, বুধবারই তলব করা হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের ঘনিষ্ঠ আরও এক ব্যবসায়ী রাজীব ভট্টাচার্যকে। ইডির দিল্লি অফিসে ডেকে পাঠানো হয়েছে তাঁকে। একাধিক চালকলের মালিক রাজীব। কেষ্টর স্ত্রীর চিকিত্সার জন্য বেশ কয়েক লক্ষ টাকা দিয়েছিলেন ব্যবসায়ী রাজীব। গত সোমবারও রাজীব ভট্টাচার্যকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। দু’জনের থেকে পাওয়া তথ্য মিলিয়ে দেখতে চান তদন্তকারীরা।