নয়া দিল্লি: আবগারি নীতির পর এবার বাস কেনা নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ উঠল দিল্লির আপ সরকারের বিরুদ্ধে। এক হাজার বান কেনা ও রক্ষণাবেক্ষণে আর্থিক বেনিয়মের যে অভিযোগ উঠেছে, তার প্রাথমিক তদন্ত শুরু করল সিবিআই। দিল্লি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশন বা ডিটিসি-র এক হাজারটি বাস কেনার সময় বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণের যে চুক্তি করা হয়েছিল, তাতেই আর্থিক অনিয়ম হয়েছে বলে অভিযোগ।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, তদন্ত বেশ কিছুদিন আগে থেকেই শুরু হলেও, এখনও অবধি কোনও এফআইআর দায়ের করা হয়নি। চুক্তিপত্র ও আর্থিক লেনদেনের হিসাব মিলিয়ে যদি কোনও বেনিয়মের হদিস মেলে, তবেই এফআইআর দায়ের করা হবে। জানা গিয়েছে, গত বছর বিধানসভায় বিজেপি দিল্লি ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনে দুর্নীতির অভিযোগ তোলার পরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের সুপারিশের ভিত্তিতে এই তদন্ত শুরু হয়েছে।
দিল্লির প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট গভর্নর অনিল বৈজলের নির্দেশেই অভিযোগ খতিয়ে দেখার জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। গত জুন মাসে সেই কমিটি রিপোর্ট পেশ করে। ওই রিপোর্টে জানায়, ডিটিসি-র বার্ষিক রক্ষণাবেক্ষণের চুক্তিতে বেশ কিছু ত্রুটি রয়েছে। চুক্তি বাতিলের সুপারিশও করে ওই কমিটি। এরপরই তৎকালীন লেফটেন্যান্ট গর্ভনর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কাছে এই বিষয়টি খতিয়ে দেখার আর্জি জানান।
সিবিআইয়ের তরফে জানানো হয়েছে, যদি প্রাথমিক তদন্তে কোনও উপযুক্ত প্রমাণ বা সূত্র মিললে, তবে অভিযোগ দায়ের করা হবে এবং সাধারণ তদন্ত শুরু করা হবে।
এদিকে, আপ সরকারের তরফে আগেই দুর্নীতির অভিযোগের বিরোধিতা করা হয়েছে। তাদের দাবি, বাস কেনা ও রক্ষণাবেক্ষণ নিয়ে আর্থিক বেনিয়মের যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন। সরকারকে হেনস্থা করতেই এই অভিযোগ আনা হয়েছে এবং এর পিছনে বিজেপির হাত রয়েছে বলেও অভিযোগ করে কেজরীবালের সরকার।
প্রসঙ্গত, আবগারি নীতি নিয়ে এমনিতেই অস্বস্তিতে পড়েছে আম আদমি পার্টি। উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসোদিয়ার নাম জড়িয়েছে আবগারি দুর্নীতিতে। তাঁর বাড়ি সহ ৩১ জায়গায় তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। লুকআউট নোটিসও জারি করা হয়েছে সিসোদিয়া সহ ১৪ জনের নামে।