নয়া দিল্লি: কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই। তাদের দায়িত্ব বড় বড় ঘটনার তদন্ত করা। কিন্তু যদি সর্ষের মধ্যেই ভূত থাকে? সিবিআই আটক করল নিজের সংস্থারই ডেপুটি এসপি-কে। মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
সিবিআই-র ডেপুটি এসপি বিএম মীনা মুম্বইয়ের ব্যাঙ্ক সিকিউরিটি অ্যান্ড ফ্রড ব্রাঞ্চের দায়িত্বে ছিলেন। অভিযোগ, সিবিআই-র র্যাডারে থাকা লোকজনদের ভয় দেখিয়ে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নিতেন তিনি। সঙ্গে মোটা অঙ্কের ঘুষ তো রয়েইছে।
সিবিআইয়ের দায়ের করা এফআইআরে জানানো হয়েছে, ডেপুটি এসপি-র অধীনে যাদের বিরুদ্ধে তদন্ত হত, তাদের থেকেই নানা সুযোগ-সুবিধা নিতেন তিনি। বিভিন্ন হাওয়ালা চ্যানেল ও অ্যাকাউন্ট দিয়ে ঘুষ নিতেন এবং টাকা লেনদেন করাতেন মিডলম্যান হিসাবে। প্রায় ১.৬৩ কোটি টাকার লেনদেন হয়েছিল। বিষয়টি সামনে আসতেই বিএম মীনার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।
জানা গিয়েছে, দিল্লি-মুম্বই-কলকাতা হয়ে হাওয়ালার মাধ্যমে হাওয়ালার টাকা লেনদেন হত। তদন্তে নেমে সিবিআই জয়পুর, কলকাতা, মুম্বই ও নয়া দিল্লির ২০ জায়গায় তল্লাশি চালায়। উদ্ধার করে ৫৫ লাখ টাকা। এই টাকা হাওয়ালার মাধ্যমে অন্যত্র পাঠানো হচ্ছিল। ওই আধিকারিকের ১.৭৮ কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
অসৎ কাজে মদতের জন্য তিন অফিসারকে সিবিআই থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে এবং পাঁচজনকে বাধ্য়তামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে।
এই ঘটনার পরই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে বিবৃতি দিয়ে জানানো হয়েছে, দুর্নীতি ও অন্যান্য অনৈতিক কাজের ক্ষেত্রে সিবিআই ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে চলে। কোনও আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠলে সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ করা হয়।